দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত: অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে সমস্ত মুখ্যসচিবদের চিঠি কেন্দ্রের

অবিলম্বে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ এবং হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের উপর নজরদারি বাড়াতে বিশেষ টিম গঠন করার পরামর্শ

দেশজুড়ে হুড়মুড়িয়ে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ(Corona Virus)। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সংক্রমণে রাশ টানতে এবার একাধিক পরামর্শ সহ দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবকে(Chief Secratary) চিঠি দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক(Central Health Ministry)। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ(Rajesh Bhushan) বাড়তে থাকা এই করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, এই পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে অবিলম্বে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ এবং হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের উপর নজরদারি বাড়াতে বিশেষ টিম গঠন করার।

পাশাপাশি মুখ্যসচিবদের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, অবিলম্বে সমস্ত রাজ্যে বাড়াতে হবে র‍্যাপিড টেস্টের সংখ্যা। পাশাপাশি জেলাস্তরে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুত করে রাখতে হবে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যেকোনো রকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে রাজ্য সরকারগুলি যেন সবদিক থেকে প্রস্তুত থাকে। বর্তমানে রাজ্যগুলি দৈনিক ২০ লক্ষ টেস্ট করতে সক্ষম, তবে গুরুতর পরিস্থিতিতে এই ক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। যদি সংক্রমণের হার বাড়ে সেক্ষেত্রে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের সংখ্যাও বাড়াতে হবে সরকারকে, এরজন্য সমস্ত ওষুধের দোকান ও প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রগুলিকেও অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন:৩ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে আংশিক লকডাউনের সম্ভাবনা, বন্ধ হতে পারে লোকাল ট্রেন, স্কুল-কলেজ

পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে, করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে ঘরে বসেই করোনা পরীক্ষার জন্য সাতটি কিটকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকেও এই সমস্ত কিট পর্যাপ্ত পরিমাণে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সংক্রমণের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো শক্তিশালীকরণ, টিকাদান অভিযান জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাজ্য সরকারগুলিকে প্রয়োজন অনুসারে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ, এমনকি বাফার এবং কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করতেও বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।

Previous article৩ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে আংশিক লকডাউনের সম্ভাবনা, বন্ধ হতে পারে লোকাল ট্রেন, স্কুল-কলেজ
Next articleIndia Team: প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে মন্থর বোলিং, জরিমানা-সহ পয়েন্ট কাটা গেল ভারতের