কংগ্রেসেকে দুর্বল করছে না তৃণমূল (Tmc)। তৃণমূল সেখানেই যাচ্ছে, যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় আছে। ত্রিপুরা ছাড়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় এই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। সোমবার, ত্রিপুরা (Tripura) থেকে বাড়ি ফিরলেন অভিষেক। তার আগে আগরতলায় তিনি বলেন, “আমরা কংগ্রেসশাসিত রাজ্যে যাচ্ছি না। যদি তাদের দুর্বল করতেই চাইতাম, তাহলে পাঞ্জাব যেতাম। ছত্তীশগড়, ঝাড়খন্ড, মহারাষ্ট্রে যেতাম।” একই সঙ্গে কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি।
বাংলা ছাড়িয়ে ত্রিপুরা, গোয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের সংগঠন মজবুত করছে তৃণমূল। অনেক জায়গায় প্রধান বিরোধীদল হিসেবে উঠে আসছে জোড়া ফুল শিবির। এই পরিস্থিতিতে অনেক জায়গাতেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন অনেকে। ফলে গোঁসা হচ্ছে কংগ্রেস নেতৃত্বের। তাঁরা বলছেন, কংগ্রেসকে ভাঙাচ্ছে তৃণমূল। এই অভিযোগের তীব্র বিরোধিতা করে দলের স্ট্র্যাটিজি স্পষ্ট করে দেন অভিষেক। তিনি জানান, কংগ্রেসের অনেক নেতা যোগাযোগ করেন। তাঁদের সবার জন্য দরজা খুলে দিলে দলটাই উঠে যেত। এরপরই অভিষেক সাফ জানিয়ে দেন, “আমরা ইউপি-তে যাব না। কংগ্রেসকে শীতঘুম ভেঙে বেরোতে হবে।” এরপরই কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “দিল্লি থেকে বসে চারটে প্রেস কনফারেন্স ও টুইট করলে হবে না।
আমি কলকাতায় বসে ত্রিপুরা জিতব এটা হয় না।
হাজার আইনি লড়াই, বিপত্তি উড়িয়ে আমি তো ত্রিপুরায় আসছি।” কিন্তু কংগ্রেসকে দুর্বল করা যে তাঁদের উদ্দেশ্য নয়, বিজেপিকে হারানোই লক্ষ্য। সেটাও স্পষ্ট করে দেন তিনি।
ত্রিপুরায় দাঁড়িয়ে বামেদের (Left) বিরুদ্ধেও সুর চড়ান অভিষেক। বলেন, ১৬ আসন পেয়েও গঠনমূলক বিরোধিতা করেনি সিপিআইএম (Cpim)। এখন ত্রিপুরায় বিজেপির বিরোধিতায় তৃণমূল যেভাবে ঝাঁপিয়েছে, বামেরা তা করেনি।
তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) জাতীয় মুখ। তাঁকে দেখেই আশার আলো দেখছে মানুষ। কাউকে জোর করে দলে নিয়ে আসা হয় না। কেউ স্বেচ্ছায় আসতে চাইলে দলে স্বাগত। নিঃশর্তে দলে আসতে হবে। ময়দানে পড়ে থেকে লড়াই করতে হবে। আগামী এক বছর রাস্তা মসৃণ নয়। “শূন্য থেকে শুরু করেছি। ২০১৩-র তৃণমূল আর ২০২২-তৃণমূল আলাদা। কোনও কিছুর বিনিময়ে তৃণমূলে নেওয়া হবে না।”
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নতুন পার্টি অফিস হবে। রাজ্য কমিটি ঘোষণা হয়ে যাবে চলতি মাসেই। বাকি কমিটি সময় সাপেক্ষ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মুখ জোড়া ফুল শিবিরে আসতে চাইছেন বলেও জানান অভিষেক। “ময়দান ছেড়ে যাওয়া যাবে না। মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে।” ত্রিপুরার জন্যে আলাদা করে দলের মুখপাত্র নিয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন:Hemant Biswa Sharma: নতুন বছরের শুরুতেই হিমন্ত-দেবরাজ বৈঠক, কিসের ইঙ্গিত?