বিজেপি (BJP) থেকে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেওয়া ত্রিপুরার (Tripura) বিধায়ক (MLA) আশিস দাসের (Ashis Das) বিধায়ক পদ খারিজ করলেন বিধানসভার (Assembly) স্পিকার (Speaker) রতন চক্রবর্তী (Ratan Chakraborty)। এই ঘটনায় স্পিকারের কড়া নিন্দা করেন আশিস দাস। স্পিকার রতন চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “উনি স্পিকারের চেয়ারে বসার যোগ্য নন। এক চোখে জল দেখছেন তো অন্য চোখে তেল দেখছেন।” স্পিকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আশিস দাস আইনের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিন ১৫ দফা দাবিতে আগরতলার বিবেকানন্দ ময়দান থেকে রাজভবন অভিযান করে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কর্মসূচিতেও যোগ দেন ত্রিপুরায় ডালাই জেলার সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আশিস দাস। মিছিল থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের খবর পান আশিসবাবু। একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “স্পিকার যে ভাষায় আমার সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, তা ওই চেয়ারে বসে বলা যায় না। আমি যদি বিধায়ক থাকার যোগ্য না হই, তা হলে উনিও স্পিকার থাকার যোগ্য নন। স্পিকার নিজেই ঘনঘন জার্সি বদলেছেন। আগেও এক বিধায়ক দল ছেড়েছিলেন, কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অথচ আমার ক্ষেত্রে এটা করা হল। এর শেষ দেখে ছাড়ব।”
উল্লেখ্য, আশিস দাস আরএসএস ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই ত্রিপুরা রাজনীতিতে পরিচিত। সুরমা থেকে বিজেপির টিকিটেই তিনি জয়ী হওয়া বিধায়ক। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরোধী শিবিরের নেতা সুদীপ রায় বর্মন ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। গতবছর পুজোর আগে কালীঘাটে পুজো দিয়ে মাথা ন্যাড়া হয়ে বিজেপি ত্যাগের ঘোষণা করেন আশিসবাবু।
কালীঘাটে আদি গঙ্গায় প্রায়শ্চিত্ত করে বলেন এ জীবনে আর বিজেপি করবেন না। তাই ন্যাড়া হয়ে সব পাপ তিনি ধুয়ে ফেললেন। এরপর আগরতলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন আশিস দাস।
আরও পড়ুন- ‘ভাতিন্দা বিমানবন্দরে বেঁচে ফিরতে পেরেছি, ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীকে’, চান্নিকে তোপ মোদির