ময়দানকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন ময়দান কাঁপানো কিংবদন্তি সুভাষ ভৌমিক

সুভাষ ভৌমিকের তত্ত্বাবধানে লাল-হলুদের আশিয়ান কাপ জয় ময়দানের সোনালী ইতিহাস

প্রয়াত ময়দানের কিংবদন্তি ফুটবল কোচ সুভাষ ভৌমিক (Subash Bhowmick)। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সুগার ও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি একবালপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গতকাল, শুক্রবার সুভাষ ভৌমিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সঙ্কটজনক অবস্থায় চলে গিয়েছিল তিনি। অবশেষে জীবনযুদ্ধের লড়াই শেষ। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রীড়া মহলে।

আরও পড়ুন:Priyanka Chopra: মধ্যরাতে খুশির খবর শোনালেন প্রিয়াঙ্কা- নিক

শারীরিক অবস্থার অবনতি খবর পেয়েই সুভাষ ভৌমিকের উন্নত চিকিৎসার জন্য উদ্যোগী হয়েছিল বাংলার তিন প্রধান, আইএফএ। আগামী সপ্তাহেই তার কিডনি প্রতিস্থাপন হওয়ার কথা ছিল। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর সতীর্থ ফুটবলাররাও।এগিয়ে এসেছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসও। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। আজ, শনিবার ভোররাতে বাংলার আপামর ফুটবলপ্রেমীকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন ময়দানের ভোম্বলদা।

ফুটবলার জীবনে সুভাষ ভৌমিক ছিলেন একজন দক্ষ স্ট্রাইকার। বিপক্ষের রক্ষণকে ছারখার করে একের পর এক বল জালে জড়িয়েছেন। ক্লাব ফুটবলে সাফল্যের পাশাপাশি হাজার ১৯৭০ সালে ব্যাংকক এশিয়ান গেমসে জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। সেবার এশিয়াডে ব্রোঞ্জ জিতেছিল ভারত।

এরপর কোচিং ক্যারিয়ারেও একের পর এক সাফল্য। সুভাষ ভৌমিকের হাত ধরেই ইস্টবেঙ্গলকে জাতীয় লিগ ঘরে এনেছিল। ২০০৩ সালে সুভাষ ভৌমিকের তত্ত্বাবধানে লাল-হলুদের আশিয়ান কাপ জয় ময়দানের সোনালী ইতিহাস। শুধু ইস্টবেঙ্গল নয়, মোহনবাগান ও মহমেডানের কোচিং করিয়েও সাফল্য পেয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক। এছাড়া গোয়ার সালগাওকার এবং চার্চিল ব্রাদার্সের কোচ হিসেবেও সুনাম অর্জন করেছিলেন এই বাঙালি কোচ। তাঁর মৃত্যু বাংলার ফুটবলে নক্ষত্র পতন। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা তথা ভারতীয় ফুটবলের একটি যুগের অবসান ঘটল।

Previous articleMumbai Fire: মুম্বইয়ের বহুতলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড,মৃত ২
Next articleউদ্বেগজনক! ফেলে যাওয়া মার্কিন অস্ত্র এখন জঙ্গিদের কব্জায়