Fake Rupee: চাঞ্চল্যকর তথ্য! বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকছে পাকিস্তানের তৈরি জাল নোট

জাল নোট তৈরির আন্তর্জাতিক চক্রের ৪ সদস্য রিমান্ডে

খায়রুল আলম, ঢাকা

সিনেমার মতোই নাটকীয়তা। বাংলাদেশী টাকার একটি নোট। নোটটির মাঝখান থেকে ছিঁড়ে একটি অংশ দেয়া হতো ডিলারের কাছে, নাম্বারসহ থাকা বাকি অংশ দেয়া হতো ক্রেতাকে। ক্রেতা নির্দিষ্ট কোডের ওই ছেঁড়া অংশ নিয়ে গেলেই ডিলার (Dealer) বুঝে যেতেন সঠিক লোকই এসেছে। তখন ভারতীয় জাল নোটের চালানটি বুঝিয়ে দেয়া হতো গ্রহণকারী বা ক্রেতাকে। এভাবেই বাংলাদেশের সীমান্ত (Bangladesh Boarder) দিয়ে ভারতে পাচার করা হতো সেই জালনোটের বান্ডিল।

তবে এই জাল রুপী তৈরি করা হয় পাকিস্তানে। সেখান থেকে আমদানি পণ্যের আড়ালে সীমান্ত ও সমুদ্রপথে বাংলাদেশে চালানটি আনত একটি চক্র। আবার সীমান্ত পথেই ভারতীয়দের কাছে পাচার করত বাংলাদেশী চক্র (Syndicate)। এই চক্রে রয়েছে ফেনসিডিল ও গরু ব্যবসায়ীরা(Phensedyl & Cow Traders)। ভারতীয় গরুর বদলে বাংলাদেশী চক্রটি দিত জাল নোট।

জানা গেছে, বাংলাদেশের দুটি পরিবারের সদস্যদের ব্যবহার করে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতে জাল নোট পাচারের চেষ্টা করে আসা পাকিস্তানী এ চক্রের মূলহোতা (Mastermind) করাচিতে থাকা শফি ও তার ছেলে সুলতান। পাকিস্তানী নাগরিক শফি এক সময় জাল রুপীর কারখানায় কাজ করত। একপর্যায়ে নিজেই ভারতীয় জাল রুপীর সুপার নোট তৈরি করা শুরু করে। বর্তমানে তার ছেলে সুলতানই পুরো সিন্ডিকেটের দায়িত্ব পালন করছে। তাদের প্রধান সহযোগী হলো পাকিস্তানী নাগরিক দানেশ ও বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত পাকিস্তানী নাগরিক ফজলু ওরফে ফরিদ।

গত সোমবার ও মঙ্গলবার রাজধানীর ডেমরা ও হাজারীবাগ এলাকা থেকে ভারতীয় জাল নোট তৈরির আন্তর্জাতিক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় ডিবি (Detective Branch) গুলশান বিভাগ।

ডিবি পুলিশ বলছে, বাংলাদেশে ভারতীয় জাল রুপী পাচারের সিন্ডিকেট তৈরি করতে বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকজন পাকিস্তানীকে পাঠিয়েছে চক্রটি। ২০০৮ সাল থেকে সাব্বির, শেরা, আসলাম ও ফজলুসহ বেশ কয়েকজন পাকিস্তানের নাগরিক বাংলাদেশে এসেছিল। চক্রের অন্যতম সদস্য দানেশ বর্তমানে বাংলাদেশেই গা ঢাকা দিয়েছে। দানেশ ইতোপূর্বে গ্রেফতার চক্রের আরেক হোতা ফাতেমার স্বামী। ইতোমধ্যে এ চক্রের বাংলাদেশী দুই সদস্য হাবিল ও আয়নালকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে ডিবি। এই হাবিল ভারতীয় সিন্ডিকেটটি নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানা গেছে।

এদিকে ভারতে পাচারের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর ও শিবগঞ্জের উপজেলার মনাকষা, হুদমা, শিয়ালমারা এলাকার সীমান্ত পথ বেছে নিয়েছিল চক্রটি। যেহেতু কাজল রেখার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে, সেহেতু সীমান্ত এলাকা নিয়ে ভাল ধারণা ছিল চক্রের সদস্যদের। তারা কখনও প্যাকেটভর্তি জাল রুপী কাঁটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে ছুড়ে মারত। পরে ভারতীয় চক্র সেগুলো সংগ্রহ করে অন্য এ্জেন্টদের কাছে দিত।

অনেক সময় ভারতীয় ফেনসিডিল ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে চালান সরবারহ করে ফেরার সময় জাল রুপীর চালান নিয়ে যেত। গরুর ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেও পাঠানো হতো জাল রুপী। অনেক সময় গরুর মূল্য পরিশোধ করা হতো এই জাল রুপীর সুপার নোট দিয়ে।

আরও পড়ুন- Surajit Sengupta: অতি সঙ্কটজনক সুরজিৎ সেনগুপ্ত, হাসপাতালে দেখতে গেলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস

Previous articleSurajit Sengupta: অতি সঙ্কটজনক সুরজিৎ সেনগুপ্ত, হাসপাতালে দেখতে গেলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস
Next articleফের বড় ধাক্কা খেল শেয়ারবাজার, দিনের শেষে ৭৭৩ পয়েন্ট নামল সেনসেক্স