এক বন্দির মৃত্যু। মৃত্যুর কারণ নিয়ে চাপান-উতোর। থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বন্দির পরিবারের সদস্যরা । থানায় ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। উভয় পক্ষের ধস্তাধস্তির মধ্যে গুলিতে প্রাণ হারালেন এক পুলিশ কর্মীও । আর এই ঘটনাকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বিহারের চম্পারণ জেলার বেতিয়া।
অনিরুদ্ধ যাবদ নামে এক ব্যক্তিকে শনিবার সকালে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে বালথার থানার পুলিশ। ধৃতকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে রাখে। লকআপে থাকাকালীন ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের তরফ থেকে এই তথ্য প্রকাশ করা হলেও বন্দির আত্মীয়রা তা মানতে নারাজ । বন্দির পরিবারের দাবি অনিরুদ্ধকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। পুলিশ পরিবারের দাবি অস্বীকার করেছে । কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে সম্ভবত লকআপে তাকে একটি বোলতা কামড়েছিল। তাতেই তার শরীরে বিষক্রিয়া হয়ে থাকতে পারে । এই তথ্যের ত্রুটি-বিচ্যুতির জেরে বন্দি অনিরুদ্ধর পরিবারের সদস্যরা থানা ঘেরাও করে। পুলিশের কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে উত্তেজিত জনতা থানা ভাঙচুর করতে শুরু করে । থানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের জিপে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয় পুলিশ গুলি চালায়। আর সেই গুলির আঘাতে মৃত্যু হল এক পুলিশকর্মীরা । যদিও পুলিশের দাবি জনতার ভেতর থেকে কেউ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি তাদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না পুলিশের ছোড়া গুলিতেই তাদের সহকর্মীম মৃত্যু হয়েছে।
মৃত পুলিশকর্মীর নাম রামযতন সিংহ। বেতিয়ার পুলিশ সুপার উপেন্দ্রনাথ বর্মা পুলিশকর্মীর মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করেছেন। কিন্তু লকআপে বন্দিকে পিটিয়ে মারার তথ্য তিনি অস্বীকার করেছেন।