দেশজুড়ে একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি। বাংলাতে আগেই শূন্য হয়েছে। সাইনবোর্ড হয়ে যাওয়া কংগ্রেস এবার নিজেদের আরও অপ্রাসঙ্গিক প্রতিপন্ন করছে। রাজ্যে আসন্ন হাইভোল্টেজ জোড়া উপনির্বাচনে এখনও দলীয় প্রার্থী ঘোষণাই করতে পারল না কংগ্রেস। অথচ, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৪ মার্চ। অর্থাৎ, হাতে সময় মাত্র আর ২দিন।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসকে পাত্তা না দিয়ে আগেই বালিগঞ্জ ও আসানসোল উপনির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বামেরা। বালিগঞ্জ বিধানসভায় লড়বেন সিপিএমের সায়রা শাহ হালিম এবং আসানসোল লোকসভায় কাস্তে-হাতুড়ি-তারা চিহ্নের প্রার্থী পার্থ মুখোপাধ্যায়। কোনও আলোচনা ছাড়া বামেরা একতরফাভাবে প্রার্থী ঘোষণা করায় গোঁসা হয় অধীর চৌধুরীদের। এরপরই প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে দুই কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়।
সূত্রের খবর, বালিগঞ্জ বিধানসভা ও আসানসোল লোকসভার উপনির্বাচনে বেশকিছু প্রার্থীর নাম ইতিমধ্যে এআইসিসি-তে পাঠানোও হয়েছে। আজ, সোমবার দিল্লি হাইকমান্ড থেকেই চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার কথা ছিল এআইসিসি নেতৃত্বর, কিন্তু এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তেমন কোনও অনুমোদনের খবর নেই কারও কাছেই।
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, উপনির্বাচনে নতুন করে জোটের আলোচনা চেয়েছিল কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বামেদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ বর্ষীয়ান প্রদীপ ভট্টাচার্যকে। কিন্তু উপনির্বাচনে জোট আলোচনার মধ্যেই একক ভাবে দুই আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেয় বামফ্রন্ট। যাতে জোট ফর্মুলায় ফের একবার মুখ পোড়ে কংগ্রেসের।
আরও পড়ুন- Birbhum Murder: বোমা মেরে বীরভূমের তৃণমূল উপ-প্রধানকে খুন, ঘটনাস্থলে পুলিশ