প্রচারের ইচ্ছে থাকলেও তালিকায় বাদ লকেট: ফের অন্তর্দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত বিজেপিতে

১২ এপ্রিল রাজ্যের দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন(Bypoll election)। ইতিমধ্যেই এই দুই কেন্দ্রে প্রচারের উদ্দেশ্যে স্টার প্রচারকের(star campaigner) তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি(BJP)। ইচ্ছে থাকলেও সে তালিকায় জায়গা হয়নি লকেট চট্টোপাধ্যায়ের(Locket Chatterjee)। নেতৃত্বের এহেন সিদ্ধান্তে ফের বিজেপিতে দেখা যাচ্ছে অন্তর্কলহের চরম পরিস্থিতি। নেতৃত্বের এহেন সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নন খোদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

জানা গিয়েছে, বালিগঞ্জ বিধানসভা ও আসানসোল লোকসভা এই দুই কেন্দ্রে প্রচারে যাওয়ার ইচ্ছার কথা আগেই নেতৃত্বকে জানিয়ে রেখেছিলেন লকেট। সংসদ অধিবেশন চলার জেরে বর্তমানে তিনি দিল্লিতে থাকলেও রাজ্য সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাত এবং রাজ্য সহ-সভাপতি অর্জুন সিংকে জানিয়েছিলেন, সংসদে অধিবেশন চললেও ছুটির দিনগুলিতে তিনি কলকাতা ও আসানসোলে গিয়ে প্রচারে নামবেন। তারপরও তার নাম বাদ পড়ায় স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব বাংলা সংবাদ এর তরফ এ লকেট চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে রীতিমতো ক্ষুব্ধ সুরে তিনি জানান, “প্রচারকদের তালিকা থেকে আমাকে কেন বাদ দেওয়া হল সেটা যিনি তালিকা তৈরি করেছেন তিনিই বলতে পারবেন। এ প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই। তবে হ্যাঁ আমি প্রচারে যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়ে ছিলাম। তবে দল কেন তালিকা থেকে আমায় বাদ দিল আমি জানি না।”

আরও পড়ুন:Ravi Shastri: ‘বিসিসিআইয়ের যুক্তিহীন সংবিধানের জন‍্য আইপিএলে ধারাভাষ‍্য দিতে পারেনি’ বললেন শাস্ত্রী

তবে রাজ্য রাজনীতিতে লকেটকে এভাবে সাইডলাইনে ফেলে দেওয়ার পেছনে বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যে ক্ষমতাশীল একাংশের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। এর আগেও রাজ্যে একাধিক কর্মসূচিতে বাদ দেওয়া হয়েছিল লকেটকে। অথচ জাতীয় ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় উত্তরাখণ্ডের দায়িত্ব পাওয়ার পর সফলভাবে তা পালন করেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। কার্যত ইতিহাস গড়ে দ্বিতীয় বার বিজেপির দখলে গিয়েছে উত্তরাখণ্ড। তবে লকেট চট্টোপাধ্যায় এহেন উত্থান মোটেই ভালো চোখে দেখছে না রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ। যার জেরেই রাজ্যে ক্ষমতাশীল একাংশের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে লকেটের। শুধু তাই নয়, দেখা গিয়েছে বিক্ষুব্ধ পুরনো বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে লকেটের ঘনিষ্ঠতা। বারবার তাদেরকে নিয়ে বৈঠকেও বসেছেন তিনি। যার জেরেই রাজ্যের কোনো কর্মসূচিতে সেই শীর্ষ নেতৃত্বদের অঙ্গুলিহেলনে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে সাইড লাইনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Previous articleRavi Shastri: ‘বিসিসিআইয়ের যুক্তিহীন সংবিধানের জন‍্য আইপিএলে ধারাভাষ‍্য দিতে পারেনি’ বললেন শাস্ত্রী
Next articleফের ধাক্কা খেলো শেয়ারবাজার, ২৩৩ পয়েন্ট নামল সেনসেক্স