Chhattisgarh: মেয়ের মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে ১০ কিলোমিটার হাঁটলেন বাবা!

কিন্তু স্বাস্থ্য ব্যবস্থার (health department) চূড়ান্ত গাফিলতি আর উদাসিনতার জেরে সামান্য জ্বরেই মৃত্যু হল সাত বছরের শিশু কন্যার(7 years old baby girl)।

হাসি খুশি ছটফটে মেয়েটা সামান্য জ্বরেই একেবারে নিথর। সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে হয়তো বাঁচানো যেত তাঁকে। কিন্তু স্বাস্থ্য ব্যবস্থার (health department) চূড়ান্ত গাফিলতি আর উদাসিনতার জেরে সামান্য জ্বরেই মৃত্যু হল সাত বছরের শিশু কন্যার(7 years old baby girl)। তারপর তাঁর দেহ কাঁধে নিয়ে ১০ কিলোমিটার হাঁটলেন তাঁর হতভাগ্য বাবা। এমন মর্মান্তিক ঘটনা জাতীয় কংগ্রেস (National Congress) শাসিত ছত্তীসগঢ়(Chhattisgarh) রাজ্যের।

মেয়ে (daughter) মানেই বাবার (father)বড় আদরের সে। ছোট থেকেই নিজের বুক দিয়ে আগলে রাখা, কিন্তু বাবা মেয়ের গল্পটার আয়ু যে খুব কম, তাই জীবন দিয়ে আগলে রাখা নিজের মেয়ের জীবন স্তব্ধ হতেই, তাঁকে কাঁধে তুলে নিলেন বাবা। শববাহী গাড়ি অমিল অগত্যা এভাবেই ১০ কিমি হেঁটে যাওয়া। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তির নাম ঈশ্বর দাস। তাঁর সাত বছরের মেয়ে সুরেখা বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঈশ্বর দাস মেয়েকে নিয়ে লখনপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ( Lakhanpur health Centre)আসেন শুক্রবার সকালেই। কিন্তু অক্সিজেন লেভেল(oxygen level)  অত্যন্ত কমে যাওয়ায় শেষ রক্ষা হয়নি। গতকালই ওই বাচ্চা মেয়েটির মৃত্যু হয় ছত্তীসগঢ়ের লখনপুর গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক তথা গ্রামীণ মেডিক্য়াল অ্যাসিসটেন্ট ডঃ বিনোদ ভার্গব (Dr Vinod Bhargav)বলেন, যখন বাচ্চা মেয়েটিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়েছিল, তাঁর অক্সিজেন লেভেল প্রায় ৬০-র কাছাকাছি ছিল। বিগত কয়েকদিন ধরেই তাঁর জ্বর ছিল। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ওই বাচ্চা মেয়েটির মৃত্যু হয়।

মেয়ের মৃত্যুর পর স্বভাবতই মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার শববাহী গাড়ি। কিন্তু কোথায় গাড়ি? না,গাড়ি না আসায় আর অপেক্ষা করেন নি অসহায় বাবা। শববাহী গাড়ির অপেক্ষা না করেই মেয়ের মৃতদেহকে কোলে নিয়েই ১০ কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফিরে গেলেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়(Chhattisgarh)-র সুরগুজা জেলার এই ছবিটি ভাইরাল হতেই তোলপাড় হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। ছত্তীসগঢ়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস দেও (TS Deo) গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান ঘটনাটি বেদনাদায়ক। যারা ওই সময়ে দায়িত্বে ছিলেন, কিন্তু নিজেদের কর্তব্য পালন করেননি, তাদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দায় এড়ানো যায় কি? আঙুল উঠছে সে দেশের স্বাস্থ্য দপ্তরের দিকে। রাজ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, শববাহী গাড়ি দেরিতে আসায়, ওই বাচ্চাটির বাবা নিজেই মেয়ের দেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। জানা গিয়েছে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই ব্যক্তির বাড়ি। গোটা পথটাই ওই ব্যক্তি মেয়ের মৃতদেহ কোলে নিয়ে হেঁটে যান। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে এহেন ঘটনা ভাইরাল হওয়ায় সমালোচনার ঝড় সর্বত্র।

 

Previous articleহয়নি সাবওয়ে, কোন্নগর-রিষড়া স্টেশনে চলছে ঝুঁকির পারাপার
Next articleকরোনা নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে কাল থেকে চালু নিয়মিত আন্তর্জাতিক উড়ান