মেয়াদ ফুরোনোর পরেও দিব্যি চলছিল রোপওয়ে, চাঞ্চল্যকর দাবি ঝাড়খণ্ডের পর্যটন বিভাগের ডিরেক্টর

নিতান্তই গাফিলতির কারণে দেওঘরের ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ড ট্যুরিজমের ডিরেক্টর রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, তিন বছর আগেই ওই রোপওয়ের লাইসেন্সের মেয়াদ ফুরিয়ে ছিল। কিন্তু তারপরেও ওই সংস্থা নিয়মিতই তাদের পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছিল। সম্ভবত সে কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। লাইসেন্স ফুরিয়ে যাওয়ার কথা বললেও এক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ড ট্যুরিজমের ডিরেক্টর রাহুল সরকারের ঘাড় থেকে যাবতীয় দায় ঝেড়ে ফেলেছেন। তিনি বলেছেন, ওই রোপওয়ের যাবতীয় দেখভাল করত দামোদর রোপওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রা লিমিটেড। ওই সংস্থার কর্তব্যে গাফিলতির জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অন্যদিনের মতো রবিবারও বহু পর্যটক ত্রিকূট পাহাড়ে রোপওয়ে চড়তে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু দুপুরের দিকে হঠাৎই দুই কেবলকারের মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ হয়। তাতেই ঘটে যায় মারাত্মক দুর্ঘটনা। রবিবারই ওই দুর্ঘটনার বলি হয়েছিলেন ২ পর্যটক। পরবর্তী ক্ষেত্রে সোম ও মঙ্গলবার বায়ুসেনার কপ্টার থেকে ছিটকে পড়ে আরও দুই পর্যটক প্রাণ হারান। উদ্ধারকাজ চলাকালীন স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছিল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই যান্ত্রিক ত্রুটি কী বুধবার তা স্পষ্ট হল। বলা যেতে পারে মেয়াউত্তীর্ণ রক্ষণাবেক্ষণহীন হয়ে পড়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের পর্যটন বিভাগের ডিরেক্টর স্বীকার করে নিয়েছেন, রবিবার সকাল থেকেই ওই রোপওয়েতে কিছু সমস্যা হচ্ছিল। তারপরই দুপুরের দিকে এই দুর্ঘটনা। রোপওয়ে সংস্থার সঙ্গে চুক্তি ও লাইসেন্স শেষ হয়ে গিয়েছিল ২০১৯ সালে। যা আর পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। তারপরও ওই সংস্থা পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু পর্যটন ডিরেক্টরের এই বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য সরকার সব জানার পরেও কেন এভাবে ওই সংস্থাকে রোপওয়ে চালাতে দিল? এক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ড সরকার কোনওভাবেই তার দায় এড়াতে পারে না।

অন্যদিকে ওই সংস্থার ম্যানেজার মহেশ মাইতি বলেছেন, ঝাড়খণ্ড সরকারের অনুমতি ছাড়া আমাদের পক্ষে রোপওয়ে চালান সম্ভব নয়। রোপওয়ে থেকে যে আয় হয় তার ভাগ দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। ২০১৯ সালে চুক্তির সময় বলা হয়েছিল চুক্তি শেষ হলে তার মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হবে। সে কারণেই রোপওয়ে চলছিল।

আরও পড়ুন- কর্মচারীদের পরিশ্রমের উপহার কোটি টাকার গাড়ি!

Previous articleকর্মচারীদের পরিশ্রমের উপহার কোটি টাকার গাড়ি!
Next article“তাপসীর মতো বিচার পাবে না হাঁসখালির নাবালিকাও”: সিবিআই তদন্তে হতাশ মনোরঞ্জন