বাবরি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর নীরবতার প্রতিবাদে চাকরি ছাড়া সেই অফিসার প্রয়াত

Misinterpretation of Constitution’s basic structure needs to be prevented.

৮৫ বছর বয়েসে প্রয়াত হলেন প্রতিবাদী অবসরপ্রাপ্ত আইএএস(Ex IAS) অফিসার, তথা লেখক মাধব গোডবলে(Madhab Godbole)। সোমবার রাতে মহারাষ্ট্রের পুনেতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর হিন্দু করসেবকরা যেদিন অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভেঙে গুড়িয়ে দেয় ঠিক সেই সময় দেশের স্বরাষ্ট্র সচিব ছিলেন মাধব গোডবলে। যার অর্থ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষার গুরুদায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। জানা যায়, বাবরি ধ্বংসের অন্তত ১৫ দিন আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়ের কাছে মসজিদ রক্ষার প্ল্যান পেশ করেন গোডবলে। যেখানে তিনি লেখেন, ১. সংবিধানের ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে উত্তরপ্রদেশের কল্যাণ সিং সরকারকে বরখাস্ত করা হোক। ২. অযোধ্যাকে তুলে দেওয়া হোক সেনার হাতে। ৩. করসেবকদের অযোধ্যা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে আটকে দেওয়া হোক। ৪. প্রতীকী করসেবার অনুমতি দেওয়া হোক কয়েকজনকে। যারা নিরাপত্তাবাহিনীর ঘেরাটোপে পুজো করতে পারবে মসজিদের বাইরে। ৫. বাবরি মসজিদ হনুমানগড়ি মন্দির চত্বর অধিগ্রহণ করে নিক কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও এসব প্রস্তাব কানেই তোলেনি তৎকালীন নরসিমা সরকার। আলোচনা বা পদক্ষেপ তো দূর ঘটনার দিন ঘরের দোর আটকে বসে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন:সুকান্তবাবুর অভিযান দিলীপ বাবুদের প্রতি: বিকাশভবন অভিযানকে কটাক্ষ কুণালের

সেদিন অযোধ্যার পরিস্থিতি জানাতে প্রধানমন্ত্রীকে বারবার ফোন করেছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব। কিন্তু বেশিরভাগ সময় তিনি ফোন ধরেননি। দুএকবার ফোন ধরলেও চুপচাপ সব শুনে ফোন রেখে দেন কোনও নির্দেশ দেননি। আর এই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে চাকরি ছারার কথা বলেন গডবলে। প্রধানমন্ত্রীর সেই নীরবতার প্রতিবাদেই ক্ষুব্ধ ওই আধিকারিক চাকরি ছেড়ে দেন।




Previous articleনেশার ঘোরে করা হত্যাও ‘খুন’, রায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের
Next articleদুয়ারে সরকার: এসেছে যোগী রাজ্যের স্বীকৃতি, বুধবার জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা