Russia-Ukraine War:সস্তার চিনা টায়ার ব্যবহার করে বিপাকে রাশিয়া,মাঝপথেই থেমে গেল গাড়ির চাকা

পশ্চিমী দেশগুলির তরফ থেকে দাবি করা হয় নিম্নমানের টায়ার ব্যবহারের কারণে এই ঘটনা। চিন থেকে রফতানি করা টায়ার সাঁজোয়া ট্রাকে ব্যবহারের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে।

পুতিনের আগ্রাসন যেন কিছুতেই কমছে না। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ(Russia Ukraine War)থামার কোনও লক্ষণ নেই। এর মাঝেই উঠে এল আরও এক তথ্য, রাশিয়া নাকি যুদ্ধের জন্য যে ট্রাক এবং সাঁজোয়া গাড়ি ব্যবহার করছে তাতে রয়েছে চিনা টায়ার(China Tyre)। টাকা বাঁচাতে এভাবেই দুর্নীতি করার অভিযোগ রাশিয়ার(Russia)বিরুদ্ধে।

কিন্তু কীভাবে এই তথ্য সামনে এল? সূত্রের খবর সামরিক অভিযানের উদ্দেশে যাওয়া রাশিয়ার একাধিক সাঁজোয়া গাড়ি সম্প্রতি ইউক্রেনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই কাদায় আটকে যায়। এরপরই পশ্চিমী দেশগুলির তরফ থেকে দাবি করা হয় নিম্নমানের টায়ার ব্যবহারের কারণে এই ঘটনা। চিন থেকে রফতানি করা টায়ার সাঁজোয়া ট্রাকে ব্যবহারের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। সাধারণত ন্যাটোর সদস্য দেশগুলি নিজেদের সামরিক যানে মিশেলিন এক্সজেডএল টায়ার ব্যবহার করে। তবে চিন নিজেদের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য প্রায়শই বিভিন্ন পশ্চিমী দেশের নামীদামি সংস্থার নকল করে নিম্নমানের টায়ার তৈরি করে বলে অভিযোগ। সস্তায় পাওয়া যায় বলে অনেক সংস্থা বিভিন্ন গাড়িতে সেই টায়ার কিনে লাগায়।

শাহ ঘুরে যেতেই রাজ্য বিজেপিতে দিলীপকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু সুকান্ত-শুভেন্দু গোষ্ঠীর

কিন্তু রাশিয়া হঠাৎ কেন নিম্নমানের টায়ার(Tyre)কেন ব্যবহার করল?সূত্র বলছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা খাতে প্রায় ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ হয়েছে। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতির কারণে এই টাকার অনেকটাই বিভিন্ন কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা হয় বলেই সূত্র জানিয়েছে। এর ফলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে সস্তা চিনা টায়ার কিনে সেগুলি দামি সাঁজোয়া গাড়িতে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এই কারণেই বারবার এই গাড়িগুলি ক্ষতির মুখে পড়ছে, বিশেষ করে যুদ্ধের সময় সেনারা বিপাকে পড়ছেন। গাড়ির চাকা ফেটে যাচ্ছে। টায়ার বিশেষজ্ঞ (Tyre Specialist) এবং ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর(University of Chicago) অধ্যাপক কার্ল মুথের মতে, চিনের ওয়াইএস-২০ টায়ারগুলি নিম্নমানের। এবং এই টায়ারগুলিই তারা বাইরের দেশগুলিতে রফতানি করে।সূত্রের খবর, ৫০টি মিশেলিন এক্সজেডএল টায়ারের দাম প্রায় ২৭ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা। অন্য দিকে, এই টায়ারের ৫০টি চিনা সংস্করণের দাম মাত্র ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।খারাপ রাস্তায় চলাচল করলে এই টায়ারগুলি কিছু দিনেই অকেজো হয়ে পরে। সরাসরি সূর্যের আলোতে টায়ারগুলি রেখে দিলেও এই চিনা টায়ারগুলি নষ্ট হতে পারে। সম্প্রতি একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে যে, রাশিয়ার একটি সেনা গাড়ি এস-১ এসএএম-এর টায়ার ফেটে যাওয়ার পর গাড়িটি কাদায় আটকে গিয়েছে। অনেকে মনে করছেন শাপে বর হয়েছে, কারণ তা না হলে হয়তো আরও ইউক্রেন সেনার মৃত্যু অবশ্যম্ভবী হয়ে পড়ত।



Previous articleআইপিএল বেটিংয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে আত্মহত্যা মা ও ছেলের
Next article১৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের মোহালির গোয়েন্দা বিভাগের সদর দফতরের কাছে বিস্ফোরণ