অবশেষে কাটল জট, বুধে বাবুলকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন ডেপুটি স্পিকারই

অবশেষে বালিগঞ্জের বিধায়র হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন বাবুল সুপ্রিয়। ১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে জিতলেও, টানাপোড়েনে আটকে ছিল বাবুলের শপথগ্রহণ। বিধানসভা সূত্রে খবর, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বিধানসভায় বাবুল সুপ্রিয়েকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো বিধানসভায় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার, এই নিয়ে বিধানসভায় মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ও উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। ঠিক হয় নৌশার আলি কক্ষে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।

বিধায়ক পদে বাবুল সু্প্রিয়র শপথ নিয়ে বিস্তর টানাপোড়েনের হয়। শপথগ্রহণে অনুমতি দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar) কিন্তু তিনি বলেন, স্পিকার (Speaker) নয়, বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo) শপথগ্রহণ করাবেন ডেপুটি স্পিকার। বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে পরপর টুইট করেন বালিগঞ্জে তৃণমূল বিধায়ক। তিনি রাজ্যপালকে অনুরোধ করেন,
“বালিগঞ্জ কেন্দ্রের মানুষদের খাতিরে আপনার কাছে আমার একান্ত অনুরোধ দয়া করে আপনার সিদ্ধান্ত বদলে দিন এবং মহামান্য স্পিকারকেই শপথের দায়িত্ব দিন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর গত কয়েক মাস ধরেই বালিগঞ্জের মানুষ বিধায়কহীন। আপনি এই অনুমতি দিলে আমি দ্রুত বিধায়ক হিসেবে আমার কাজ শুরু করতে পারি।

এর জবাবে আবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। লেখেন,
“১৬১ বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বাবুল সুপ্রিয়র প্রকাশ্যে মাননীয় স্পিকারের দ্বারা শপথ গ্রহণের জন্য রাজ্যপালকে অনুরোধ করা সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, গ্রহণযোগ্যও নয়।”

বিধায়কদের শপথগ্রহণ করানোর ক্ষমতা সাধারণত বিধানসভার স্পিকারদের দেন রাজ্যপালরা। কিন্তু ধনকড় তা নিজের কাছে ফিরিয়ে নিয়েছেন। ফলে জয়ী প্রার্থীর শপথগ্রহণের অনুমতি তাঁর থেকেই নিতে হচ্ছে। তার জেরে রাজ্যপাল চাইলে নিজেই বিধায়ককে শপথগ্রহণ করাতে পারেন। বা তাঁর মনোনীত কেউ শপথগ্রহণ করাতে পারেন। সেই কারণে বাবুলের শপথগ্রহণের অনুমতির জন্য রাজভবনে চিঠি পাঠানো হয়। রাজ্যপাল শর্ত রাখেন, রাজ্যের বেশকিছু বিল ও প্রস্তাবের আলোচনার বিস্তারিত বিবরণ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি শপথগ্রহণের অনুমতি দেবেন না। এই নিয়ে ফের রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাতের আবহ তৈরি হয়। অবশেষে শনিবার শপথের অনুমতি দেন রাজ্যপাল। কিন্তু এবার এই ডেপুটি স্পিকারের বিষয়টা নিয়ে আবার শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তাঁকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা তিনি পালন করতে পারবেন না। শেষ পর্যন্ত আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ই শপথবাক্য পাঠ করাবেন বাবুলকে।

আরও পড়ুন- অনুব্রতর গাড়িতে লালবাতি! রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব হাইকোর্টের

 

Previous articleঅনুব্রতর গাড়িতে লালবাতি! রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব হাইকোর্টের
Next articleচৌকাঠ পেরোনোর অধিকার নেই দেশের ৪৪ শতাংশ মহিলার: দাবি কেন্দ্রের রিপোর্টে