কেন সবাই দল ছাড়ছেন? নাড্ডার সামনেই কেন্দ্রীয় নেতার ধমক খেলেন শুভেন্দু-সুকান্তরা

এই মুহূর্তে রাজ্য সফরে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাঁর উপস্থিতিতেই বুধবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতার তোপের মুখে সুকান্ত-শুভেন্দু-অমিতাভ চক্রবর্তীরা

একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকে বঙ্গ বিজেপির রক্তক্ষরণ অব্যাহত। একের পর নির্বাচনে ভরাডুবি। একের পর এক নেতা-বিধায়ক-সাংসদ দল ছাড়ছেন। চলছে মুষলপর্ব। দলের মধ্যে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না! একটা সন্দেহ আর অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। নেতাদের মধ্যে টুকরে টুকরে গ্যাং। গোষ্ঠীবাজিতে জর্জরিত নেতাদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। প্রকাশ্যে একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত। যা নিয়ে রাজ্য নেতাদের উপর ক্ষুব্ধ দিল্লির নেতৃত্ব।




আরও পড়ুন:নাড্ডার সফর ঘিরে ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব-মারপিট! নেতাদের ধমকালেন লকেট



এই মুহূর্তে রাজ্য সফরে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাঁর উপস্থিতিতেই বুধবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতার তোপের মুখে সুকান্ত-শুভেন্দু-অমিতাভ চক্রবর্তীরা। দল চালানোর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠিকে কড়া বার্তা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। রাজ্য নেতাদের প্রতি তাঁর অভিযোগ “অহেতুক সন্দেহ করে এতবড় দল চালানো যায় না। এতে দলের ক্ষতি হচ্ছে। সংগঠনের ক্ষতি হচ্ছে। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। যাঁরা সবাইকে নিয়ে চলতে পারেন তাঁরাই তো প্রকৃত নেতা। আর যাঁরা সেটা পারেন না, তাঁদের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা নেই।” কেন একের পর এক নেতা দল ছাড়ছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সন্তোষ।




সম্প্রতি, ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বিজেপি ত্যাগ করে দলীয় নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। অর্জুনের অভিযোগ ছিল, দলে কেউ কাউকে বিশ্বাস করেন না। পদ দিলেও কাজ করার ক্ষমতা দেয় না। অন্য দল থেকে আসা নেতাদের বিজেপি বিশ্বাস করে না।

Previous articleবিদ্যুতের চরম সঙ্কট! পাকিস্তানে বিয়ের অনুষ্ঠানেও কড়া নির্দেশ
Next articleবিধানসভা অধিবেশনে সাসপেন্ড শুভেন্দুদের আমন্ত্রণ নয়, কড়া নির্দেশ স্পিকারের