‘অগ্নিপথ’ নিয়ে বিক্ষোভের আঁচ এবার বাংলার বিভিন্ন জায়গায়

অগ্নিপথের প্রতিবাদে শিলিগুড়িতেও বিক্ষোভ সামিল হন যুবকরা। শুক্রবার শিলিগুড়ির ভেনাস মোড়ে অবরোধ করে স্থানীয় যুবকরা। সেনা পরীক্ষা পিছানোর দাবিতে অবরোধ করে তারা

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অগ্নিপথ’। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পরই প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। সেই বিক্ষোভের আঁচ এবার এসে লেগেছে বাংলাতেও। শুক্রবার সকাল থেকে ঠাকুরনগর, ভাটপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ অবরোধ চলছে। সেনাবাহিনীতে যারা কাজ করতে চান, তারা একাধিক স্টেশনে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। যার জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার  হন নিত্যযাত্রীরা।

চাকরি প্রার্থীরা ঠাকুরনগর রেলস্টেশনে অবরোধ করেছিল প্রায় দু’ঘণ্টা। এই বিতর্কের আঁচ পৌঁছায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের কাছে। ঠাকুরনগর রেলস্টেশনে অবরোধ ওঠার পরই প্রতিবাদ জানাতে বিক্ষভকারীরা পৌঁছন ঠাকুরনগরে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে।সেখানে পৌঁছে তাঁরা পুরো ঘটনার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানানোর চেষ্টা করেন। যাতে লোকসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাদের এই বার্তা তুলে ধরা যায়। এই কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বেধে যায়। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাইরে চাকরি প্রার্থীদের ভিড় জমে রয়েছে। বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।

এরই পাশাপাশি, এই প্রকল্পের বিরোধিতায় শুক্রবার সকালে হাওড়া ব্রিজ অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হয় যুবকরা। শুক্রবার সকালে হাওড়া ব্রিজে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামেন বিক্ষোভকারীরা। দুর্ভোগে পড়েন অফিসযাত্রীরা। বিক্ষোভ আটকাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

অগ্নিপথের প্রতিবাদে শিলিগুড়িতেও বিক্ষোভ সামিল হন যুবকরা। শুক্রবার শিলিগুড়ির ভেনাস মোড়ে অবরোধ করে স্থানীয় যুবকরা। সেনা পরীক্ষা পিছানোর দাবিতে অবরোধ করে তারা। এনজিপি স্টেশনেও ঢোকার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ বাধা দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ওই প্রকল্পে সাড়ে ১৭-২১ বছরের তরুণ-তরুণীরা চার বছরের জন্য মাসিক ৩০-৪৫ হাজার টাকার চুক্তির ভিত্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখায় (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যোগ দিতে পারবেন বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁদের নামকরণ করা হয় ‘অগ্নিবীর’। সেনায় শূন্যপদ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চতুর্থ বছরের শেষে সেই ব্যাচের সর্বাধিক ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়। বাকিদের ১১-১২ লক্ষ টাকা দিয়ে পাঠানো হবে অবসরে।তারা থাকবেন না কোনও পেনশনের আওতায়। রাজ্যে রাজ্যে আন্দোলন শুরুর পরে বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যোগদানের বয়সসীমা এককালীন (শুধু প্রথম বার নিয়োগের ক্ষেত্রে) বাড়িয়ে ২৩ করা হয়েছে।

 

Previous articleবিধানসভায় অধ্যক্ষকে আপত্তিকর মন্তব্য, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ফের স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ
Next articleরাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম থেকে গুজরাত সংঘর্ষ বাদ দিল এনসিইআরটি