‘বিপ্লবী’ সুজনের মুখোশ খুলে দিলেন কুণাল

সুজনের মিথ্যাচার। ভুল বিবৃতি। সারদা মামলা নিয়ে না জেনে কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য। কুণাল ঘোষ পালটা তোপ দেগে সুজনের কোন আত্মীয়ের দিকে আঙুল তুললেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা কুণালের মন্তব্য হুবহু তুলে দেওয়া হলো-


আরও পড়ুন:অগ্নিপথের বিক্ষোভের আঁচ এবার বাংলাতেও,রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও

সুজন চক্রবর্তী, মিথ্যাচার করবেন না, ভেবে বলুন-

বিধানসভায় শূন্য পাওয়া দলের নেতা এবং সিপিএম রাজ্য সম্পাদক হতে না পারায় অবসাদগ্রস্ত সুজন চক্রবর্তী আমার সারদার একটি মামলা থেকে অভিযোগমুক্ত হওয়া সম্পর্কে বলেছেন আমি তৃণমূলের মুখপাত্র, তাই ” পুলিশের মামলা তো উঠে যাওয়ারই কথা।”

অল্পবয়সে সাদা চুল। তাই সবজান্তা হাবভাব। চোখে আঙুল দাদাও বলা যায়।

মামলা উঠে গেল? এত বড় মিথ্যে বললেন?

মামলা ছিল। আর তার চার্জশিটও এখনকার নয়। 2013/14 সালের। তখনকার নথিতেই বিচার প্রক্রিয়া চলছে। এখন কোনো নথি বদলায় নি।

এই মামলাগুলিতে আমি লড়ছি, এবং আইনি প্রক্রিয়াতেই রেহাই পেয়েছি। কেউ কোনো মামলা তুলে নেয়নি।

এর কদিন আগে, আমার আত্মহত্যার চেষ্টার মামলাতেও সব পদ্ধতি মেনে রাজ্য সরকার চেষ্টা করেছে আমাকে দোষী প্রমাণ করতে। এবং আদালত আমাকে দোষী বলে রায় দিয়েছেন। বিচারক মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য আমাকে দোষীই বলেছেন। মানবিক কারণে শাস্তি দেননি। সেটাও আইনি পথে।

গতকাল সারদার মিডিয়া কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত মামলায় একইভাবে আইনি লড়াই হয়েছে। আমার আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী ডিসচার্জ পিটিশন দিয়েছেন। এবার, আমি যদি সত্যিই সারদার কোনো আর্থিক লেনদেনে জড়িত না থাকি, তাহলে কি জোর করে আমাকে শাস্তি দেবে কোর্ট? মনে রাখুন, চার্জশিটের সময়টা 2013/14। আমার তো বটেই, এমনকি বাকিদের ক্ষেত্রেও পুলিশ যদি তখনকার তাড়াহুড়োয় যথাযথ তথ্যপ্রমাণ না দিয়ে থাকে এবং মামলাটি বিচারের উপযোগী না হয়, কোর্ট রায় দেন, তার সঙ্গে মামলা তুলে নেওয়ার কী সম্পর্ক? কোর্ট প্রতিটি নথি নিয়ে প্রকাশ্যে বিশ্লেষণ করেছেন। তারপর রায় দিয়েছেন।

মামলা তুলে নিয়েছে পুলিশ? আপনি মিথ্যা বলছেন।

আপনার জেলা, আপনার শ্বশুরমশাইয়ের জেলায় সারদার জন্ম। সুদীপ্ত সেনের আদালতকে দেওয়া বয়ানে আপনাদের পার্টির নামও আছে। আপনাদের গণশক্তি ও ডায়ালে চিটফান্ডের বিজ্ঞাপন ভরা। আপনি আজ বড় বড় কথা বলছেন? মিথ্যাচার করছেন?

মনে আছে, বউবাজারে রশিদ খানের বাড়িতে বিস্ফোরণ। আর ডি এক্স। শতাধিক হতাহত। সিপিএম নেতাদের যোগ। রশিদ গ্রেপ্তার। আপনারা রশিদযোগে আপনার ছয় শীর্ষনেতা নেত্রীকে শাস্তি দিলেন, কিন্তু পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তই করল না। এরকম অজস্র উদাহরণ। আজকাল সব কম্পিউটারে। তখন কাগজ আর চিরকুটের জমানায় কত কী পাল্টে গেছে, তবে মানুষ ভোলেননি।

আপনি এখন মামলা তোলার যে কথা বলেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিভ্রান্তি ছড়ানোর কাজ। আপনি আগে কৈফিয়ত দিন আপনাদের জমানায়, শ্বশুর জামাইয়ের দাপটযুগে, আপনার জেলায় সারদা ডালপালা ছড়ালো কী করে?

পুনশ্চ: আপনার গণশক্তিও এই মামলার প্রতিবেদনে একবারও লেখেনি যে পুলিশ মামলা তুলে নিয়েছেl আপনার কি সব কান্ডজ্ঞান লোপ পেয়েছে?

Previous articleAtk Mohunbagan: যুব দলে নজর এটিকে মোহনবাগানের, বাছবেন বাগানের হেডস‍্যার
Next articleকালো টাকার রমরমা: ১৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে সুইস ব্যাঙ্কে জমা ৩০,৫০০ কোটি ভারতীয় টাকা