একটি সিঙাড়া খেতে পারলেই নগদ ৫১ হাজার টাকা পুরস্কার! কোথায় পাবেন এই সুযোগ? জানুন

সিঙাড়া বা সামোসা খেতে প্রায় সকলেই ভালোবাসে। তারপর বাইরে বৃষ্টি আর সেইসঙ্গে বাড়িতে বসে মুচমুচে সিঙাড়ার স্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে চাননা কেউই। তবে আপনি কি কখনও সিঙাড়া খাওয়ার চ্যালেঞ্জে ভাগ নিয়েছেন! মানে এই ধরুন একেবারে কত বেশি সিঙড়া খাওয়া যায় এরকম? তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে এক বিরাট সিঙাড়া চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছেন উত্তরপ্রদেশের মেরঠের এক দোকানদার। ডজনখানেক নয়, কেবলমাত্র একটি সিঙাড়া খেতে পারলেই নগদ ৫১ হাজার টাকা পুরস্কার। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে এই সিঙাড়া চ্যালেঞ্জ। কী এমন আছে এই সিঙাড়ায় যা খেতে পারলে নগদ ৫১ হাজার টাকা দেওয়া হবে!

সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় ছেয়ে রয়েছে এই সিঙাড়া কাহিনী। দোকানদার তার নাম দিয়েছে, বাহুবলী সিঙাড়া ওরফে বাহুবলী সামোসা। শোনা যাচ্ছে দোকানদার একটি প্রতিযোগিতা রেখেছে, যেখানে শর্ত দেওয়া হয়েছে যে, মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে একটা গোটা সিঙাড়া খেয়ে ফেলতে পারলেই দেওয়া হবে নগদ ৫১ হাজার টাকা। তবে আপনি যদি ভেবে থাকেন এ আর এমন কি বড়ো ব্যাপার তাহলে খুবই ভুল ভাবছেন।

আরও পড়ুন- আগামিকাল ফের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী, মঙ্গলে থাকবেন GTA-র শপথ গ্রহণে

এটি যে সে সিঙাড়া নয়, পুরো ৮ কিলো ওজনের বাহুবলী সিঙাড়া। ৩০ মিনিটের মধ্যে আপনাকে শেষ করতে হবে এই ৮ কিলো ওজনের সিঙাড়াকে। দোকানদার জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে চার কিলো ওজনের একটি সিঙাড়া বানান। কিন্তু, সেটি বানিয়ে তিনি বিশেষ খুশি হননি। এরপরই তিনি ৮ কিলো ওজনের সিঙাড়া বানিয়ে ফেলেন। । সিঙাড়ার মধ্যে থাকে আলু, মটরের পাশাপাশি পনির এবং বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস। জানা গেছে বিশাল আকৃতির এই জায়েন্ট সিঙাড়াটি ১১০০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি করেন তিনি।

উত্তরপ্রদেশের মেরঠের সেই মিষ্টির দোকানে এখন বিখ্যাত হয়ে উঠেছে বাহুবলী সিঙাড়া চ্যালেঞ্জের জন্য। প্রতিদিনই সেখানে অনেকেই উপস্থিত হচ্ছেন সেই চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করার জন্য। সকলেরই লক্ষ্য ৩০ মিনিটে ৮ কিলোর বাহুবলী সিঙাড়া শেষ করে নগদ ৫১ হাজার টাকা জিতে নেওয়া। তবে দূর্ভাগ্যজনক ভাবে এখনো পর্যন্ত একজন মানুষও জিততে পারেনি এই চ্যালেঞ্জ।

আরও পড়ুন- এই রাজ্যের ৭২ জন এখনও আটকে অমরনাথে, ফেরাতে তৎপর নবান্ন

Previous articleঅখ্যাত খেলায় বিশ্বজয় শিবানীর, জিতলেন দুটি সোনার পদক
Next articleরামরাজাতলার মন্দিরে পুজো দিয়ে বাংলায় রামরাজ্য গড়ার কথা বললেন স্মৃতি ইরানি