দেশের অর্থনীতির(Economy) হাল বেহাল। লাফিয়ে লাফিয়ে পড়ছে টাকার দাম, অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধির(Price Hike) জেরে নাকাল দেশবাসীর। আর এই ইস্যুতেই সংসদে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। তবে সে বিষয়ে আলোচনা তো দূর, কার্যত বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে উদ্যত হল সরকার। এক যোগে সাসপেন্ড করা হল রাজ্যসভার ১৯ জন সাংসদকে। এঁদের মধ্যে ৭ জন তৃণমূলের সাংসদ(TMC MP)। চলতি সপ্তাহে জন্য তাঁরা বাদল অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না। সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ ও হই হট্টগোলের জন্যই তাঁদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
যে সকল তৃণমূল সাংসদ এদিন সাসপেন্ড হয়েছেন তাঁরা হলেন, দোলা সেন, শান্তনু সেন, মৌসম নূর, শান্তা ছেত্রী, নাদিমূল হক, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেব। এছাড়াও তালিকায় ডিএমকের তিন জন সাংসদ এম এম আবদুল্লা, ডি এল যাদব এবং রাম ও বাম সাংসদও রয়েছেন। তাঁরা সংসদের উচ্চকক্ষে মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রস্ফীতি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্রমাগত স্লোগান দিচ্ছিলেন। ওয়ালে নেমে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। এই সাসপেনসনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সরব হয়েছে তৃণমূল। টুইটারে মোদি সরকারকে তোপ দেগে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, “আমাদের সাসপেন্ড করতে পারেন। কিন্তু চুপ করাতে পারবেন না। সাংসদরা মানুষের সমস্যা তুলে ধরলেই সাসপেন্ড করা হচ্ছে। এভাবে আর কতদিন চলবে? সংসদের প্রবিত্রতার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনের আগে সংসদ চত্বরে ধরনা, বিক্ষোভ কর্মসূচি করা যাবে না বলে কার্যত ‘ফতোয়া’ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু বিরোধীরা সেই ফতোয়া হেলায় উড়িয়েছেন। সংসদ অধিবেশনের শুরুর দিনই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীর উপর জিএসটি (GST) বসানোর প্রতিবাদে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সাংসদরা। শামিল ছিলেন তৃণমূলের একাধিক সাংসদও। সোমবার সংসদ চত্বরে ধরনা দেওয়ায় লোকসভার ৪ কংগ্রেস সাংসদকেও সাসপেন্ড করেন স্পিকার। কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে জানানো হয় বাদল অধিবেশনে আর অংশ নিতে পারবেন না তাঁরা।