ধর্ষ.ণের পর খুনের প্রবণতা বেড়েছে মৃত্যুদণ্ডের সাজার জন্য: বিতর্কিত মন্তব্য গেহলটের

নির্ভয়া কাণ্ডের পর ধর্ষ.ণে ফাঁসির সাজা দেওয়ার আইন এনেছে সরকার। আর এই আইনের জেরে দেশে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনা বাড়ছে। সম্প্রতি এমনটাই মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করলেন রাজস্থানের(Rajsthan) মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট(Ashok Gehalot)। তাঁর মন্তব্যের ভিডিও টুইট করে রীতিমতো কটাক্ষ করেছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল(Swati Maliwal)।

২০১২ সালে দিল্লি গণধর্ষ.ণ কাণ্ডের পর নয়া আইন এনে ২০২০ সালে ফাঁসির সাজা কার্যকর হয়েছিল ৪ অপরাধীর। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে গেহলট বলেন, “নির্ভয়া কাণ্ডের পর দোষীদের ফাঁসি দেওয়ার আইন আনা হয়েছে। সে কারণে ধর্ষ.ণের পর খুনের ঘটনা বেড়েছে। কোনও মেয়েকে যৌন নির্যাতনের পর এখন তাদের খুন করে ধর্ষ.ক। যাতে কোনও প্রমাণ না থাকে। তারা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠছে। দেশে এই সংক্রান্ত একটি বিপজ্জনক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।” গত রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকেও এই আইন নিয়ে সরব হন গেহলট। তবে তাঁর মন্তব্য দেশজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।

এদিকে গেহলটের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল সমালোচনা করে জানিয়েছেন, “এই মন্তব্যের যতই নিন্দা করা হোক, তা কমই হবে। আজও দেশে মেয়েরা নির্মমভাবে ধর্ষি.ত হচ্ছে। অনেক আন্দোলন, অনশনের পর এই আইন কার্যকর করা হয়েছে। রাজনীতিবিদদের এই ধরনের বক্তব্য সব নির্যাতিতার মনোবল ভেঙে দেয়। নেতাদের কাজ মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপ্রয়োজনীয় বক্তব্য দেওয়া নয়।” শুধু তাই নয় সরাসরি গেহলটকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “ধর্ষ.কের ভাষায় মন্তব্য করা বন্ধ করুন অশোক গেহলট।” শুধু তাই নয় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। তিনি বলেন, “গত তিন বছরে রাজস্থান অল্পবয়সি নিরপরাধ মেয়েদের উপর নৃশংসতার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে৷ এই বিষয়টি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা দুর্ভাগ্যজনক। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে বিতর্কিত বক্তব্য।”

Previous articleকমনওয়েলথ গেমসে ফাইনালে হার ভারতের, টুইটারে হরমনপ্রীতদের কী বললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়?
Next articleলোকসভায় পেশ হতে চলেছে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল