জামিনে মুক্ত অভিযুক্তরা, কৃত্রিম হাত পেলেও আতঙ্কিত রেণু

ইতিমধ্যে তাঁর স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য কৃত্রিম হাতের (Prosthetic Hand) ব্যবস্থা করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ (East Burdwan District Council)। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা খরচ করে রেণুর কৃত্রিম হাত লাগানো হবে বলে ঘোষণা করেছেন সভাধিপতি শম্পা ধাড়া (Shampa Dhara)। তবে অন্য এক দুশ্চিন্তা (Tension) মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে রেণু খাতুনের (Renu Khatun)। রেণুর হাত কাটার ঘটনায় সম্প্রতি অভিযুক্ত ৩ জনকে জামিন (Bail) দেওয়া হয়েছে। আর জামিন পেয়েই তারা আবার হামলা চালাতে পারে, সেই চিন্তায় ফের আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন রেণু।

আরও পড়ুন- শীতকালেই পোষ্যের হাট দক্ষিণ কলকাতায়: মন্ত্রী অরূপের প্রস্তাবে রাজি ব্যবসায়ী সমিতি

পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের গৃহবধূ রেণু খাতুনের ডান হাতের কব্জি স্বামী কেটে নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Burdwan Medical College and Hospital) রোগী কল্যাণ সমিতির (Patient Welfare Association) চেয়ারম্যান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের (Swapan Debnath) উপস্থিতিতে কৃত্রিম হাত লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরই জেলা সভাধিপতি শম্পা জানিয়ে দেন, জেলা পরিষদই সব খরচ বহন করবে।

নার্সিংয়ে (Nursing) চাকরি করতে না দিয়ে বেঁকে বসে রেণুর স্বামী শেখ সরিফুল। রেণুর উপর চলতে থাকে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার (Torture)। তবে তাতেও দমে যাননি কেতুগ্রামের গৃহবধূ। একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এরপর চলতি বছরের ৪ জুন রেণুর ডান হাতের কব্জি কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় রাজ্য জুড়ে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে নার্সিং কলেজের চাকরিতে যোগ দেন রেণু।

তবে পূর্ব বর্ধমানের রোগী কল্যাণ সমিতি ও জেলা পরিষদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রেণু। তিনি বলেন, “সকলকে আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এমন মহান উদ্যোগে আমার আগামীদিনে কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে”। তবে রেণুর কব্জি কাটা কাণ্ডে ধৃত ভাড়াটে দুষ্কৃতী সহ তিনজনের জামিন মঞ্জুর করে কাটোয়া মহকুমা আদালতের (Katwa Sub Divisional Court) অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সুকুমার সূত্রধর। এই খবর কানে আসার পরই রেণু জানিয়েছেন, “যদি অভিযুক্তদের আটকে রেখে যাতে বিচারের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে ভালো হবে। ওরা ছাড়া পেয়ে যাওয়ায় আমার রীতিমতো ভয় হচ্ছে। আমার উপর আবার হামলা করা হতে পারে”।

 

 

Previous articleরোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের উদ্বিগ্ন, হবে বিশেষ অভিযান
Next articleঅপুষ্টি দূরীকরণে  দেশের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান মোদির