বেআইনি অনুপ্রবেশ ইস্যুকে রাজনৈতিক ‘অস্ত্র’ করতে উদ্যোগী কেন্দ্র

গুজরাত, হিমাচলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ও পরবর্তী লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে অনুপ্রবেশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। আমজনতার দৈনন্দিন সমস্যা, সরকারের ব্যর্থতা, কর্মসংস্থানের অভাব, রুটিরুজির বিপন্নতা ও প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের পাশাপাশি বিজেপির অস্ত্র বেআইনি অনুপ্রবেশ ইস্যু। আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের বিষয়টিকে সামনে এনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে উদ্যোগী হচ্ছে মোদি সরকার। অনুপ্রবেশ ও নাগরিকত্বের ইস্যুকে জুড়ে হইচই করতে পারলে সরকারের পাহাড়প্রমাণ ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি ঘোরানো সহজ হবে বলে বিজেপি নেতাদের আশা। সীমান্ত প্রহরার দায়িত্ব হাতে থাকা সত্ত্বেও বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই ইস্যুতে দায়িত্ব রাজ্য সরকারের ঘাড়ে ঠেলতে চায়। রাজ্যকে দোষারোপ করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ইস্যুর সঙ্গে বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার করার ছক কষেছে কেন্দ্র। এই রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ ইস্যুতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাতে চলেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, এই নির্দেশিকায় বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে সীমান্ত এলাকাবর্তী রাজ্যগুলির উপরে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ এক্ষেত্রে অন্যতম টার্গেট। যেহেতু এরাজ্য বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া, তাই পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হবে। যদিও অনুপ্রবেশ রোখার দায় পুরোপুরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। বাংলার গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ইস্যু নিয়ে হইচই শুরু করেছিল বিজেপি। কেন্দ্রের ব্যর্থতাকে আড়াল করতে ফের এই ইস্যুতে বিজেপিকে রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রচারে নামার সুযোগ করে দিতে চায় অমিত শাহের মন্ত্রক। অথচ রাজ্যগুলির অভিযোগ, দেশের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা পুরোটাই কেন্দ্রের হাতে।

আরও পড়ুন- রাজস্ব ঘাটতি বাবদ ১৪ রাজ্যকে ৭১৮৩ কোটি দিল কেন্দ্র, সর্বোচ্চ অনুদান পেল বাংলা

Previous article২০২২ বিশ্বকাপের জন‍্য ঘোষণা ব্রাজিল দল, একনজরে দেখে নেওয়া যাক কে কে আছেন সেই দলে
Next articleBreakfast news : ব্রেকফাস্ট নিউজ