কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে নিরাপত্তার মোড়কে নিজের কনভয়ে অস্ত্র ও কালো টাকা ঢোকাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu Adhikari)। বিস্ফোরক অভিযোগ কোনও তৃণমূল (TMC) নেতার নয়, নন্দীগ্রামের (Nandigram) মানুষের। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এভাবে একদিকে কালো টাকা দিয়ে দুষ্কৃতীদের কাজে লাগচ্ছেন বিজেপি বিধায়ক। আসলে নন্দীগ্রামে বিজেপিতে ধস নামছে। দলে মুখ দেখাতে পারছেন না শুভেন্দু।
নন্দীগ্রাম-সহ পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া আটকাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে কনভয়ের গাড়িতে করে গ্রামে অস্ত্র ঢুকিয়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে। নন্দীগ্রাম-কাঁথি-সহ গোটা জেলাকে অস্থির করে তুলতে চাইছে। স্থানীয়দের থেকে এই বিস্ফোরক অভিযোগ শুনে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, আমার প্রস্তাব রইল, নন্দীগ্রামের মানুষ যা অভিযোগ করছেন তা ভয়ঙ্কর। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব, এবার থেকে নন্দীগ্রামে ঢোকার আগে নাকা চেকিংয়ে পুলিশ যেন শুভেন্দুর কনভয় চেক করে। এতে যদি তৃণমূলের নেতাদেরও গাড়ি চেক করতে হয় করুন। কিন্তু মানুষের এই অভিযোগের পর নাকা চেকিংয়ে শুভেন্দুর গাড়ি চেক হোক। বুধবার সকাল থেকে দিনভর কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন জায়গায় চায়ের আড্ডা— কর্মীদের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনা— ছোট স্ট্রিট কর্নার— বাজারে জনসভা করেন। সংগঠনের নেতা-কর্মী তো বটেই, সাধারণ মানুষের বিশেষ করে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বুধবার সকাল ৯টায় কাঁথি উত্তরের মুকুন্দপুর বাজারে চা সহযোগে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আড্ডায় মাতেন। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা তরুণ জানা, তৃণমূল যুব সভাপতি ও কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি-সহ দলের নতুন-পুরনো নেতৃত্ব ও অসংখ্য কর্মী। কুণাল বলেন, আপনারা মনে রাখবেন, মূল লড়াইটা বিজেপির জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে। লড়াইটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার। এরপর উত্তর কাঁথিরই বসন্তিয়া মগবতে একটি ক্লাবে তৃণমূলsর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনায় বসেন৷ সেখানেও একইভাবে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করা ও আগামী ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার প্রসঙ্গও ওঠে। সকলে এক সুরে জানিয়ে দেন, ৩ ডিসেম্বর জনসমুদ্র হবে। এরপর চালতি ছুঁয়ে কুণাল চলে যান জুনপুটে। সেখানে বাজারে বিশাল কর্মিসভা হয় দলের। ছিলেন তরুণ জানা, সুপ্রকাশ গিরি, জোতির্ময় কর-সহ অন্যরা। সভা শেষে আবার কাঁথিতে চলে সাংগঠনিক বৈঠক। এরপর বিকেলে পটাশপুরে দলের জনসভায় যান তিনি। উপচে-পড়া ভিড়ে আগের সভাগুলির মতো এখানেও শুভেন্দুকে ধুইয়ে দেন কুণাল। তাঁর কথায়, ৮০ শতাংশ আক্রমণ শুভেন্দুকে করা হয় তার কারণ ও বড় নেতা সেজন্য নয়। ও ৮০ শতাংশ পদ ও ১০০ শতাংশ সুবিধে নিয়েও বিশ্বাসঘাতকতা-বেইমানি করেছে। এই সভায় বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, উত্তম বারিক-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। পটাশপুরের সভার পর এদিন হলদিয়ায় ফিরে যান কুণাল।
আরও পড়ুন- Firhad Hakim : ডেঙ্গি মোকাবিলায় সচেতনতা বাড়াতে চেতলায় মেয়র