‘মেলার মধ্যে দিয়ে সৌজন্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে’, বসিরহাটে বললেন একেএম ফারহাদ

বৈচিত্রের মধ্যে মহামিলনের স্থান বাংলা। এখানে নানা ভাষাভাষীর মানুষের সহবাসস্থানে গড়ে উঠেছে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক পরিবেশ। বাঙালি মহাপুরুষদের চিরন্তন ভাবধারা থেকে শুরু করে আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় মেলা শব্দটি বাঙালির অন্তই হৃদয়ের বস্তু। উৎসব প্রেমী বাঙালিরা হইহই করে মেলায় উপস্থিত হয়ে একে অন্যের সঙ্গে মেলবন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং বিভিন্ন রকমের আনন্দদায়ক বস্তু গ্রহণের মধ্যে দিয়ে অবসরকালীন সময় খুব সুন্দরভাবে অতিবাহিত করে থাকে। উল্লেখ্য বুধবার উঃ চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মিলন মেলার শুভারম্ভ অনুষ্ঠানে বিগত দিনের ন্যায় এ বছরও সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হয়। এই মেলা প্রতি বছর অত্যন্ত সুন্দর সুষ্ঠু পরিবেশে মানুষকে মনোরঞ্জন দিয়ে থাকে। চলতি মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত এ মেলায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সমাজ সেবামূলক কর্মসূচি চলবে বলে উদ্যোক্তারা জানায়।

অনুষ্ঠান মঞ্চে জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন বসিরহাটের মাটি পবিত্র ভূমি যেখানে বাংলার বিখ্যাত মনীষীদের পাশাপাশি স্বনামধন্য মানুষের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে এই অঞ্চল।। সম্প্রীতির অন্যতম নিদর্শন বহন করে থাকে বসিরহাট মিলন মেলা। তিনি বলেন বাংলায় যেভাবে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে জনদরদী মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রেখে কর্মসূচি গৃহীত হচ্ছে তার ব্যতিক্রম হয় না বাংলার শহর থেকে মফস্বল সর্বত্র। ফারহাদ সাহেব আরো বলেন উৎসব ক্রিমই বাঙ্গালীদের কাছে মহামিলনের জায়গা মেলা যেখানে কচিকাঁচা থেকে বয়স্ক মানুষেরা উপস্থিত হয়ে নিজেদের পছন্দসই আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পেয়ে থাকে যা শুধুমাত্র বাংলার মানুষের পক্ষে সম্ভব। স্থানীয় বিধায়ক সপ্তর্ষি ব্যানার্জি বলেন এলাকার মানুষের চাহিদা মতো এই মেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকলের আগমনকে মান্যতা দিয়ে যে পরিষেবা প্রদান করা হয়ে থাকে,তার ফলেই প্রচুর মানুষ আনন্দমুখর পরিসর পেয়ে থাকে। বসিরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র জানায় মানুষের চাহিদা মতো এই অঞ্চলে মেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠক বাদল মিত্র বলেন জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এই অঞ্চলে মানুষের সহ অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেদিকে নজর দিয়েই মিলন মেলা অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে থাকে বশিরহাটের মাটিতে। অনুষ্ঠান টি আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সমিক রায় অধিকারী, যুগ্ম সম্পাদক তথা সমগ্র অনুষ্ঠানের পরিচালক পরিমল মজুমদার,কার্যকরী সভাপতি সুকুমার দেবনাথ,গোপাল সহ অন্যান্যরা।

আরও পড়ুন- আপ আয়ে তো বাহার আয়ে: রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনকড়কে সুরেলা অভিবাদন সুখেন্দুর

Previous articleআপ আয়ে তো বাহার আয়ে: রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনকড়কে সুরেলা অভিবাদন সুখেন্দুর
Next articleবোরো চাষে পর্যাপ্ত জলের জোগান দিতে পদক্ষেপ রাজ্যের