”বন্দির ডায়েরি”, বইমেলায় নস্টালজিক কুণাল জেল সুপারকে দিলেন এই উপহার

আজ চলতি কলকাতা বইমেলায় আচমকাই কুণালবাবুর সঙ্গে দেখা হয়ে যায় দেবাশিস চক্রবর্তীর। কে তিনি? দেবশিসবাবু আলিপুর প্রেসিডেন্সির সংশোধনাগরের সুপার, যিনি কুণাল ঘোষের বন্দিদশাতেও জেল সুপার ছিলেন

বন্দির ডায়েরি। বন্দিদশায় সাংবাদিক কুণাল ঘোষের অনবদ্য এক লেখনী। এবারও কলকাতা বইমেলাতে পাওয়া যাচ্ছে সেই বই। কুণাল ঘোষ যখন জেলের অন্তরালে থাকতেন সেই সব যন্ত্রণাক্লিষ্ট জীবনের কথা তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে। প্রচ্ছদের ছবিতে রয়েছে সেই বন্দিপর্বে কুণাল ঘোষের ছবি। সেখানে কার্যত বল প্রয়োগ করা হচ্ছে কুণাল ঘোষকে। যন্ত্রণা, ক্ষোভের অভিব্যক্তি তাঁর মুখে। সেই ছবি সম্বলিত বইটাকে অনেক আগেই সামনে এনেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

আজ চলতি কলকাতা বইমেলায় আচমকাই কুণালবাবুর সঙ্গে দেখা হয়ে যায় দেবাশিস চক্রবর্তীর। কে তিনি? দেবশিসবাবু আলিপুর প্রেসিডেন্সির সংশোধনাগরের সুপার, যিনি কুণাল ঘোষের বন্দিদশাতেও জেল সুপার ছিলেন। তাঁকে মেলাতে দেখা মাত্রই কুণাল দেবাশিসবাবুকে আসার অনুরোধ করেন করুণা প্রকাশনীর স্টল, ১৮২-তে। তাঁর হাতে তুলে দেন বন্দির ডায়েরি, যে বই লেখা হয়েছে দেবাশিসবাবুর জেলে বসেই।

খুব স্বাভাবিকভাবেই এমন একটি বই হাতে পেয়ে আপ্লুত দেবাশিস চক্রবর্তীও। তিনি জানান, কুণাল ঘোষ বন্দি হওয়ার অনেক আগে থেকেই তিনি ওনার লেখনীর ভক্ত। তবে কুণাল ঘোষ বন্দি থাকা অবস্থায় তাঁর সঙ্গে অন্য বন্দিদের মতোই ব্যবহার হয়েছে, বাড়তি কোনও সুবিধা দেননি তিনি। তিনি কুণাল ঘোষের লেখার ভক্ত, তবে বন্দি কুণালকে বাড়তি কোনও সুবিধা দেননি তিনি। এদিন কুণালের কাছে জেল সুপারের আর্জি ছিল, “সাম্প্রতিক সময়ে আর আপনার ভালো লেখা দেখি না। আপনি আবার ভালো লেখা শুরু করুন…!”

অন্যদিকে কুণাল ঘোষ বলেন, “আমার ‘বন্দির ডায়েরি’ যাঁর হাতে দিলাম, ডায়েরি লেখার সময়ে সেই দেবাশিস চক্রবর্তীই ছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার। সেই বন্দিজীবনে ঘটনার ঘনঘটা, কিছু সংঘাতও। তাঁর হাতেই তার সংকলন। বিচিত্র মুহূর্ত। বইমেলাতে করুণা প্রকাশনীর স্টল, ১৮২-তে। মেলায় দেখা। তারপর আড্ডা। ছিলেন বাচ্চুদা, বউদি। মিস করলাম সদ্যপ্রয়াত মেসোমশাইকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেবাশিস বললেন, ‘আমি কিন্তু বন্দিজীবনের অনেক আগে থেকে কুণালবাবুর লেখার অনুরাগী। আমি চাই ওটাই ওঁনার অগ্রাধিকার হোক।”

উল্লেখ্য, “এই এক মজার যাত্রাপথ। ২০১২ সালে আমি দিল্লিতে সাংসদ পদে শপথের পর রাতে বঙ্গভবনে ঘুমোচ্ছি। বেল বাজল। আগন্তুক বললেন,” রাজ্য সরকারি অফিসার। আপনার লেখার পাঠক। শুভেচ্ছা জানাতে আলাপ করলাম। আমি দেবাশিস চক্রবর্তী।” কী আশ্চর্য, পরে ২০১৫ সালে আমি যখন প্রেসিডেন্সি জেলে, তিনিই এলেন সুপার হয়ে। আজ ২০২৩ সালে বইমেলায় তাঁর হাতে দিলাম ‘বন্দির ডায়েরি’, যেখানে তিনিও একটি চরিত্র। তারপর দীপ, সংবাদ প্রতিদিন, কিশলয়, জাগো বাংলাসহ পরিক্রমা।
জীবনপথ বড়ই বিচিত্র।

তবে শুধু একটি বই নয়, তিনি একাধিক বইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন অন্য পোস্টে। ফিরে আসছি বিরতির পর, সাংবাদিকের ডায়েরি থেকে, পূজারিনী, রানিসাহেবা, ঠিক গল্প নয় বইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
বিরল মুহূর্ত, বিচিত্র অভিজ্ঞতা।

আরও পড়ুন- জীবনের শ্রেষ্ঠ জনসভা! কেশপুরে ব্রিগেডের মতো বড় সভা দেখে মন্তব্য অভিষেকের

Previous articleবর্ষা এলেই নতুন বাড়ির সামনে জল জমে, সমাধান চেয়ে মেয়রকে চিঠি সৌরভের
Next articleপাকিস্তান থেকে এশিয়া কাপ সরানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত