কাঁথির শ্মশান দু*র্নীতি মামলায় নয়া মোড়! রাজ্যকে ফের মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের

বৃহস্পতিবারই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে নতুন করে সেই মামলা করার অনুমতি দিয়েছে।

কাঁথি পুরসভার শ্মশান সংস্কার সংক্রান্ত টেন্ডার (Contai Tender Scam) নিয়ে রাজ্যের করা মামলায় স্থগিতাদেশের মধ্যেই এবার নয়া মোড়। বৃহস্পতিবার রাজ্যকে নতুন করে মামলা দায়েরের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Rajasekhar Mantha) রাজ্যের দায়ের করা মামলায় স্থগিতাদেশ দেন। তবে মামলার মূলচক্রী শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী (Soumendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পণ্ডা (Ramchandra Ponda)। আর যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করেছে সৌমেন্দুর দিকেও।

উল্লেখ্য, কাঁথি পুরসভার টেন্ডার সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ যখন সামনে আসে, তখন সৌমেন্দুই ছিলেন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান। তবে অভিযোগকারিণী ফ্রেন্ডস ইঞ্জিনিয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক কাকলি পণ্ডা সম্প্রতিই আদালতকে জানিয়েছেন, তাঁকে ভয় দেখিয়ে অভিযোগপত্রে সই করানো হয়েছিল। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রামচন্দ্র। বিচারপতি মান্থার এজলাসে কাকলির বয়ান জানিয়ে পাল্টা মামলা করেন রামচন্দ্র। এরপরই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য।

এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে নতুন করে সেই মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। গত ৪ নভেম্বর অভিযোগের ভিত্তিতে সৌমেন্দুর ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করে কাঁথি থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে কাঁথি পুরসভার শ্মশান সংস্কার সংক্রান্ত টেন্ডার নিয়ে অন্তত দেড় কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ঘটনার সূত্র ধরে সৌমেন্দুর বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু পরবর্তী কালে সৌমেন্দু এই মামলায় হাই কোর্টের রক্ষাকবচ পেলেও গ্রেফতার হন রামচন্দ্র।

 

 

Previous articleসুর নরম মিয়াঁদাদের, বললেন মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে
Next articleদুর্নীতি মানল এসএসসি,চাকরি যাচ্ছে ৮০০-র বেশি শিক্ষকের