তিথি মেনে ত্রিবেণীতে শাহি স্নান, লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাবেশ

কো*ভিডকালে বিধি মেনে মেলা করতে হয়েছিল। এবার মহাসমারোহে শুরু হয়েছে কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহাসিক মেলা।

৭০৩বছরের পুরনো ঐতিহ্য মেনে সোমবার ভোরে ত্রিবেণীতে (Tribani) হল শাহি স্নান। বসেছে কুম্ভমেলা। বাঁশবেড়িয়ার (Banberiya) ত্রিবেণীতে নতুন রূপে কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে গত বছর থেকে। আনুমানিক ৭০৩ বছর পর এবারের মেলার আয়োজন হয়েছে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার এবং ত্রিবেণী উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে। গতবছর থেকেই মেলা হয়। কিন্তু কো*ভিডকালে বিধি মেনে মেলা করতে হয়েছিল। এবার মহাসমারোহে শুরু হয়েছে কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহাসিক মেলা।

রঘুনন্দনের প্রায়শ্চিত্ত তত্ত্বগ্রন্থে ত্রিবেণীর উল্লেখ পাওয়া যায়। ইতিহাসের বিভিন্ন বিভিন্ন গ্রন্থ ঘেঁটে জানা যায়, একসময় দেশে সপ্তগ্রাম ও ত্রিবেণী শিক্ষা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসাবেই গণ্য হত। উত্তরে এলাহাবাদের প্রয়াগ যুক্তবেণী এবং দক্ষিণে এই ত্রিবেণীর প্রয়াগ হল তার মুক্তবেণী। বিভিন্ন সাধু-সন্তর কথায়, এটাই কুম্ভের উপযুক্ত স্থান। আধ্যাত্মিক চেতনায় এই স্থানের গুরুত্ব অপরিসীম। ১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আয়োজিত হওয়া এই ধর্মীয় মেলায় উপস্থিত হবে কয়েকশো নাগা সাধু ও সনাতনধর্মের বিভিন্ন আখরা। ত্রিবেণী সঙ্গমে নাগা সন্ন্যাসী ও আগত সকল সনাতনী পুণ্যার্থীর স্নান করছেন। এছাড়াও ত্রিবেণী র শিবপুর মাঠে ত্রিদিবসীয় হোম–যজ্ঞ চলছে। পাশাপাশি, স্তোত্রপাঠ ও গঙ্গারতির অনুষ্ঠান।

জেলা প্রশাসন ও রাজ্য প্রশাসন এই মেলা সুষ্ঠুভাবে করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। সেই অনুযায়ী সমস্ত রকম ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।

 

 

Previous articleদল হারতেই স্ব-মেজাজে নেইমার, সতীর্থ-মালিকের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ালেন!
Next articleনবম-দশমের চাকরি হারানো শিক্ষকেরাও হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ