মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর, অগণিত মানুষের ভিড়

সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

খায়রুল আলম, ঢাকা

আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন বাংলাদেশের (Bangladesh) রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। ১৯৫২ সালের সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালি দেখিয়েছে প্রতিবাদের স্পর্ধা। ১৪৪ ধারা ভেঙে মায়ের ভাষা বাংলাকে রক্ষায় সেদিন রাজপথে নেমেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রী ও অজস্র তরুণ। তাঁদের মিছিল ঠেকাতে নির্মমভাবে গুলি চালায় পাকিস্তানি সেনারা। পলাশ ফোটার দিনে বুকের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয় মায়ের ভাষা বাংলা। তাই দিনটি যেমন গৌরবের ও অহংকারের, তেমনি শোকেরও। একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ (Md Abdul Hamid) ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Shekh Hasina)।

সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বাজানো হয় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…’।

এরপর রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সংস্থার শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জনসাধারণের জন্য শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। পরে একে একে শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি-সহ সর্বস্তরের মানুষ। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দীর্ঘ লাইন ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে পলাশী মোড় ও নীলক্ষেতের দিকে চলে যায় লাইন। সকালে অসংখ্য মানুষকে ফুল হাতে শহিদ মিনারের দিকে যেতে দেখা যায়। লাইনে দাঁড়িয়ে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা।

২১ ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটির দিন। অর্ধনমিত রাখা হয়েছে জাতীয় পতাকা। একই সঙ্গে সর্বত্র ওড়ানো হচ্ছে শোকের কালো পতাকা। সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও বেতারে ভাষা দিবসের বিশেষ ক্রোড়পত্র ও অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হচ্ছে।

 

 

Previous articleসিঙ্গল ইঞ্জিনে বিপ*দের আশ*ঙ্কা! কোচবিহার থেকে ডাবল ইঞ্জিন ফ্লাইট দাবি মমতার
Next articleহিজবুলের অন্যতম মাথা ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ বশির আহমেদ খুন পাকিস্তানে