হোলিতে জ*ঙ্গিদের টা*র্গেট হাওড়া শিয়ালদহ, স*তর্ক বাংলা !

দোল এবং হোলি নিয়ে এমনিতেই ক*ড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলা তথা দেশের প্রশাসন। প্রত্যেক বছর উৎসবের দিনগুলোতে বিশেষ সত*র্কতা গ্রহণ করা হয়।

হাতে মাত্র দিন তিনেক বাকি, তারপরে রঙের উৎসবে মেতে উঠবে গোটা দেশ। বাংলায় অবশ্য দোল (Dol Yatra) একদিন আগে, তাই চরম সতর্ক প্রশাসন (Administration) । ক*রোনার কঠিন থাবা অতিক্রম করে আগামী বুধবার রঙের উৎসবের মাতার আগেই জ*ঙ্গি হামলার হুঁশিয়ারি। এবার বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন দিয়ে আকাশপথে হামলা করার ছক কষা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। টার্গেট হয়েছে হাওড়া (Howrah), শিয়ালদহ (Sealdah), আসানসোল, মালদা–সহ বাংলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন এমনকি বাদ যায়নি কলকাতা বিমানবন্দর (Kolkata Airport) থেকে রাজভবনও (Rajbhawan) । এই হুমকির নেপথ্যে রয়েছে দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন—পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (PFI) এবং স্টুডেন্টস’ ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া (SIMI)। হোলিতে (Holi Festival) এই হা*মলার ছক প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

দোল এবং হোলি নিয়ে এমনিতেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বাংলা তথা দেশের প্রশাসন। প্রত্যেক বছর উৎসবের দিনগুলোতে বিশেষ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়। সূত্র মারফত জানা যায় গত ২ মার্চ জঙ্গি হামলার একটি গোপন বার্তা দিয়েছেন পূর্ব রেলের আইজি তথা প্রিন্সিপাল চিফ সিকিউরিটি কমিশনার (PCSC) পরমশিব।সেখানে বলা হয়েছে, গত ১ মার্চ বারাণসী বিমানবন্দরের অধিকর্তা একটি চিঠি পেয়েছেন। তাতে হোলির দিন অর্থাৎ ৮ মার্চ বি*স্ফোরক বোঝাই ড্রোনের সাহায্যে বহু বিমানবন্দর, রেলস্টেশন এবং রাজভবনে জ*ঙ্গি হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পিএফআই এবং সিমি-র সঙ্গে জড়িত একটা গোষ্ঠী এই হামলা চালাতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট সব ডিআরএমকে (DRM) সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। এই বিষয়ে গোয়েন্দারা যে তথ্য পেয়েছেন তার ভিত্তিতে বলা হচ্ছে বিহারের বেগুসরাইতে বারাউনি পলিটেকনিক কলেজের কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিতেই তৈরি হয়েছে এই বিস্ফোরক। শুধু তাই নয় আকাশপথে হামলা করতে ড্রোনের নকশা এবং পর্যাপ্ত প্রযুক্তি জোগাড় করা হয়েছে বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য থেকেই। এক্ষেত্রে নাম জড়িয়েছে পাটনার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট টেকনোলজির মতো কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানেরও। সেখানকার মেকানিক্যাল শাখার সহায়তায় তৈরি হয়েছে বিস্ফোরক বহনের ড্রোন বলেই জানা যাচ্ছে।

প্রিন্সিপাল চিফ সিকিউরিটি জানান বিভিন্ন গোয়েন্দা এজেন্সির মাধ্যমে হোলিতে এই ধরনের জঙ্গি হামলার খবর মিলেছে। দেশব্যাপী এই নাশকতা চালানো হতে পারে বলেই গোয়েন্দাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের বাসভবন হামলার টার্গেটের মধ্যে থাকছে কিনা সেটা নিয়ে নিশ্চিত কিছু এখনই বলা যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই সব ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশনে হোলির দিন সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। আকাশপথে ড্রোনের মতো কিছু দেখা গেলে গুলি করে নামিয়ে আনা হবে বলেও জানাচ্ছেন প্রতিরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।

 

Previous articleকেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে কন্ঠরো*ধের চেষ্টা, প্রতি*বাদে মোদিকে চিঠি মমতা সহ বিরোধীদের
Next articleআইএসএল-এর সেমিফাইনালে এটিকে মোহনবাগান, ম‍্যাচ জিতেও মন খারান জুয়ানের