মডেল সাগরদিঘি, পঞ্চায়েতেও অশুভ আঁতাতে জোট বাঁধছে বাম-রাম-কং

শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে এককভাবে পেরে না উঠে বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এবং সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলকে সামনে রেখে ফের অনৈতিক জোট প্রার্থীকে জেতাতে কোমর বাঁধছে কিছু বাম-কংগ্রেস-বিজেপি নেতা

নীতি-আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেও “অশুভ আঁতাত” তৈরি করতে জোটবদ্ধ হওয়ার ছক কষছে বিরোধীরা। সাগরদিঘি মডেলকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত ভোটে অনেক আসনেই যে বাম-রাম-কং জোট বেঁধে প্রার্থী দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধু বিরোধিতার জন্যই।তৃণমূলের অন্ধ বিরোধিতা থেকে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি এক হয়ে রামধনু জোট করবে।

আরো পড়ুন:সাগরদিঘিতে পরাজয়: কারণ বিশ্লেষণে বৈঠকে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব

শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে এককভাবে পেরে না উঠে বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এবং সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলকে সামনে রেখে ফের অনৈতিক জোট প্রার্থীকে জেতাতে কোমর বাঁধছে কিছু বাম-কংগ্রেস-বিজেপি নেতা। সেক্ষেত্রে প্রার্থী নির্দল হলেও তাদের সমস্যা নেই।

সাগরদিঘির তথ্য-পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি পেয়েছিল, ৪৪,৯৮৩ ভোট (২৪.০৮ শতাংশ)। কিন্তু উপনির্বাচনে সেই ভোট কমে দাঁড়ায় ২৫,৮১৫ (১৩.৯৪শতাংশ)। অর্থাৎ বিজেপির ভোট কমেছে ১০.১৪ শতাংশ। এই ভোটটাই ট্রান্সফার হয়েছে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর দিকে। ফলে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস তিনটি বিপরীত ধর্মী দলের ভোটে জয়লাভ করেছেন। আর এটাই নাকি পঞ্চায়েতের আগে বিরোধীদের অক্সিজেন জুগিয়েছে। ফলে নীতি-আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে শুধুমাত্র তৃণমূলকে হারাতে পঞ্চায়েতে অশুভ আঁতাতে তৈরি করতে মরিয়া ধান্দাবাজ ক্ষমতালোভী কিছু বিরোধী নেতা। সেইসব নেতারা দলগত দিক থেকে প্রকাশ্যে বিরোধিতা দেখালেও নিজেদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

 

 

Previous articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleস্পিকারের বিরুদ্ধে বিজেপির অনাস্থা-তৃণমূলের আস্থা প্রস্তাব নিয়ে সরগরম হতে চলেছে বিধানসভা