নদী ভাঙনে সর্বহারাদের জমির পাট্টা, আরও ১০০ কোটির বরাদ্দ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে নদী ভাঙন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মোট ৮৬ জনের হাতে পাট্টা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে গঙ্গা ভাঙনে (Erosion of Ganga) যাঁরা জমি-বাড়ি হারিয়েছেন, সেই সমস্ত পরিবারগুলির হাতে জমির পাট্টা তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার আগে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে নদী ভাঙন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মোট ৮৬ জনের হাতে পাট্টা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে সামশেরগঞ্জের জন্য আরও ১০০ কোটি টাকা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিনের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সেচ দপ্তর থেকে ৫০ কোটি দেওয়া হবে। আর কাল আমি ৫০ কোটি দিয়েছিলাম। নতুন করে যারা ঘর-বাড়ি করবেন তাঁরা নদীর পাড় থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে করবেন। জীবনের থেকে বড় কিছুই নয়। ফারাক্কা ব্যারেজ ড্রেজিং করে না। কখন যে নদীর পাড় কত ভাঙবে কেউ জানে না। রাজ্যের পক্ষে এত কোটি কোটি টাকা জলে ঢালা সম্ভব নয়।”

ফারাক্কা ব্যারেজ হওয়ার পর যে নদী ভাঙনের সমস্যা হয়েছে। তাকে জাতীয় সমস্যা বলে ঘোষণা করার জন্য আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, “ফারাক্কা ব্যারেজ হওয়ার পরেই এই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রের শাসক দল যতটা দাঙ্গা-অত্যাচার নিয়ে মাথা ঘামায় সেই মাথাটা যদি ভালো কাজে ব্যবহার করত তাহলে মানুষের অনেক উপকার হত।”

ফের একবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গতকাল আমাকে একজন বয়স্ক মানুষ এসে বললেন, মাগো ১০০ দিনের কাজের টাকাটা এখনও পাইনি। আমি বললাম টাকাটা কেন্দ্র আটকে রেখেছে। মানুষের ন্যায্য প্রাপ্য আটকে রেখেছে ওরা। আমরা ১০০ দিনের কাজে পাঁচবার প্রথম হয়েছি। তারপরেও টাকা দিচ্ছে না। আমি কখনও মিথ্যে কথা বলি না। অন্য কিছু নেতাদের মতো মিথ্যে কথা বলা আমার কাজ নয়। আমরা ইতিমধ্যে ৪০ লক্ষ মানুষকে বিকল্প কাজ দিয়েছি।” এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সেচ দপ্তরের সচিব প্রভাত মিশ্র-সহ আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা।

 

 

 

Previous articleফের উত্তপ্ত উপত্যকা! সেনা-জ.ঙ্গি গুলির লড়াইয়ে আ*হত ১ জওয়ান
Next articleঘূর্ণাবর্তের আগে চড়ছে পারদ, আগামী ৫ দিন বৃষ্টিহীন দক্ষিণবঙ্গ