ভাঙড়ে ভাঙন, আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে শতাধিক কর্মী-সমর্থক

যদিও গোটা বিষয়টিকে ‘নাটক’ বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভাঙড়ে দলবদল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে বড়সড় ভাঙনের মুখে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে  যোগ দিলেন শতাধিক কর্মী, সমর্থক। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক মুখে ভাঙড়ে এই দলবদল ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। তৃণমূল বিধায়ক শওকাত মোল্লা, শাসকদলের নেতা আরাবুল ইসলামদের হাত ধরে ভাঙড়ে আইএসএফর-এর ঘর ভাঙা শুরু। যদিও গোটা বিষয়টিকে ‘নাটক’ বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।

সম্প্রতি তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লার ওপর দায়িত্ব দেয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ভাঙড়ের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন সওকাত।তার ফলও মিলল হাতেনাতে।সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া অধিকাংশই ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিডের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই দলবদলে ভাঙড়ে একদিকে যেমন তৃণমূলের মুখে হাসি চওড়া হচ্ছে, উল্টোদিকে জোর ধাক্কা লেগেছে আইএসএফ শিবিরেও। যদিও সবে ধন নিলমণি ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী দলবদলের এই প্রক্রিয়াকে ‘নাটক’ বলে অভিহিত করেছেন নওশাদ।

আসলে এলাকায় হিমঘর সহ নানান পরিকাঠামোগত কাজ শুরু করেছে সরকার। আন্দোলনকারীদের দাবি মানায় অনেকেই এবার শাসক শিবিরে নাম লেখালেন। সওকাত বলেন, আগামীদিনে ভাঙড়ে তৃণমূল খুব ভাল ফল করবে। এখানকার সাধারণ মানুষ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে শাসকদলে ফিরছে। আরাবুল ইসলাম বলেন,‘‌ এরা আমাদের সঙ্গে ছিলেন। ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিডের আন্দোলননের সময় আইএসএফের সঙ্গে চলে যায়। আবার উন্নয়ন ও প্রগতির পক্ষে এলেন এরা।

ভাঙরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, দুর্নীতি বরদাস্ত করতে না পেরেই আইএসএফ ছেড়ে শতাধিক কর্মী, সমর্থক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

 

Previous articleরবিবারে অন্য মেজাজ: প্রিয় পোষ্য হাতে ট্রেডমিলে মমতা
Next articleভারতে একদিনের বিশ্বকাপ খেলতে বিসিসিআইকে বিশেষ শর্ত পিসিবির : সূত্র