CBI নয়, আস্থা CID-তেই! কনভয়ে ধাক্কা মামলায় হাই কোর্টে শুভেন্দুর বিরোধিতা মৃ.তের পরিবারের

শুভেন্দুর আইনজীবী সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেও মৃতের পরিবারের তরফে সিআইডি তদন্তের পক্ষেই সওয়াল করা হয়। এদিন এফআইআর-র ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাই কোর্টে আর্জি জানান শুভেন্দুর আইনজীবী।

কনভয় (Convoy) বিতর্কে এবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী। উল্লেখ্য, চণ্ডীপুর কাণ্ডে (Chandipur) আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই মামলার শুনানি ছিল বুধবার। আলাদা আলাদা আইনজীবী নিয়ে এদিনের শুনানিতে হাজির ছিলেন মৃতের বাবা এবং অনন্যা আত্মীয়রা। এদিন শুভেন্দুর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার হাই কোর্টে অভিযোগ জানান, কথা দেওয়ার পরেও কনভয়ে সঠিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি রাজ্যের তরফে। এরপরই আইনজীবী মনে করিয়ে দেন, অভিযোগের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে রাজনীতি। তবে এদিন শুভেন্দুর আইনজীবী সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেও মৃতের পরিবারের তরফে সিআইডি (CID) তদন্তের পক্ষেই সওয়াল করা হয়। এদিন এফআইআর-র (FIR) ওপর স্থগিতাদেশ (Stay Order) চেয়ে হাই কোর্টে আর্জি জানান শুভেন্দুর আইনজীবী। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে।

তবে এদিন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) রাজ্যের কাছে জানতে চান, কেন হাই কোর্টের দুটি একক বেঞ্চের নির্দেশের পরেও তা ঠিকমতো রক্ষা করা হয়নি? শুভেন্দু অধিকারী জেড ক্যাটাগরির কনভয় নিয়ে হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরও কেন তা মানা হয়নি? পাশাপাশি চণ্ডীপুরে কনভয় দুর্ঘটনার এফআইআর-এ কেন স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না? আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে রাজ্যকে। বুধবার শুনানি চলাকালীন একথাই স্পষ্ট করে জানালেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

পাশাপাশি এদিন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, আরটি ভেহিকেলস (RT Vehicles), ক্যামেরা ও রুট লাইনিং (Route Lining); এই ৩ টি বিষয় জেড সুরক্ষা বলয়ে সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের। আর তা না পেয়েই দ্বিতীয়বার রাজ্য পুলিশের কাছে আবেদন করেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুভেন্দু আবদন করলেও রাজ্যের তরফে দেওয়া উত্তরে সন্তুষ্ট হননি। উল্টে শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্তব্যরত কোনও জওয়ানকে এভাবে গ্রেফতার করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্তব্যরত সিআরপিএফকে (CRPF) গ্রেফতার ও এক দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, চণ্ডীপুরে কনভয়ের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু ঘিরে তুমুল বিতর্ক বাধে। অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় যাওয়ার সময় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চণ্ডীপুরের শেখ ইসরাফিল নামে এক যুবকের। বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই ওই কনভয়ের চালক আনন্দকুমার পাণ্ডে চণ্ডীপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।

 

 

 

Previous articleমালদহের পরে বীরভূম, বিধানসভায় ১১-০ করার ডাক অভিষেকের 
Next article‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে আরও এক জনস্বার্থ মা.মলা!