অভিষেকের কাছে আর্জির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ৯৭ বছরের বৃদ্ধের বার্ধক্যভাতার প্রক্রিয়া শুরু

‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে, পাশে বসে সুখ-দুঃখের কথা শুনছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Abhishek Banerjee)। তাঁকে কাছে পেয়ে অভাব-অভিযোগ জানাচ্ছেন অনেকে। কেউ আবার সরকারি প্রকল্পের সব সুবিধা পাওয়ায় ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। গতকাল অর্থাৎ রবিবার, জনসংযোগ যাত্রায় রায়নায় (Raina) তাঁকে কাছে পেয়ে কেঁদে ফেললেন এক বৃদ্ধ। জানালেন, অনেকদিন ধরে বার্ধক্যভাতা পাচ্ছেন না তিনি। বৃদ্ধের হাত ধরে তাঁকে শান্ত করেন অভিষেক। আশ্বাস দেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বার্ধক্যভাতার ব্যবস্থা করে দেবেন তিনি।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হল ওই বৃদ্ধের বার্ধক্যভাতার প্রক্রিয়া। জানা যায় যে ওই বৃদ্ধের বার্ধক্য পেনশনের জন্য কোনও আবেদন করা হয়নি। তাই পেনশন পাচ্ছিলেন না তিনি। এরপর সোমবারই প্রশাসনের তরফে ওই বৃদ্ধর বার্ধক্যভাতা সংক্রান্ত সমস্ত বিবরণ সংগ্রহ করা হয় এবং যাতে তিনি তাড়াতাড়ি পেনশন পেতে পারেন তার ব্যবস্থাও এদিন করা হয়।

প্রসঙ্গত, গতকাল অর্থাৎ রবিবার রায়নার বড়বৈনানে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁকে দেখতে সারা গ্রাম জড়ো হয় সেখানে। আবার তাঁকে কাছে পেয়ে অনেকেই সমস্যার কথা জানান। মহিলারা যখন অভিষেককে জানাচ্ছেন, তাঁরা ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না, তখনই উপস্থিত হন এক বৃদ্ধ। অভিষেকের হাতে ধরে কেঁদে ফেলেন। তাঁর অভিযোগ, বার্ধক্যভাতা পাচ্ছেন না তিনি। তাকে শান্ত করেন অভিষেক। আশ্বাস দেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বার্ধক্যভাতার ব্যবস্থা করে দিবেন তিনি। অভিষেককে কাছে পেয়ে অভাব-অভিযোগের কথা জানান অনেকেই। তাঁদের কথা মন দিয়ে শোনার পাশাপাশি বেশ কিছু নোট নেন তিনি। মণ্ডলপাড়ার পাশাপাশি এলাকার আর কয়েকটি গ্রাম ঘুরে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুন- দুঃস্থের আর্থিতে সাড়া, অসুস্থের চিকিৎসার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিলেন অভিষেক

Previous articleমাত্র পাঁচ মাসেই মুখ থুবড়ে পড়ল বন্দে ভারত,বিলাসপুর রুটে বন্ধ পরিষেবা
Next articleআইপিএলের প্লে-অফে গুজরাত, হায়দরাবাদকে হারাল ৩৪ রানে