কর্নাটকে প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রীর কা.জিয়া, প্রশ্নের মুখে সরকারের স্থায়িত্ব

অন্তর্কলহ-র রোগ সারাতে পারছে না কর্নাটক (Karnataka)। BJP-কে সরিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরেও মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। শেষে সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী আর ডি কে শিবকুমারকে (DK Shivkumar) উপমুখ্যমন্ত্রী করে পরিস্থিতি সামাল দেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। কিন্তু তাতে যে ভিতরের ক্ষোভ মেটেনি, তা প্রকাশ্যে এলো। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে কার্যত ‘ভীতু’ বললেন উপমুখ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবার ছিল বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সময়ের গ্রামপ্রধান কেম্পেগৌড়ার জন্মদিবস। সেই উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সুড়ঙ্গ ও ফ্লাইওভার নির্মাণ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শিবকুমার বলেন, এই প্রকল্পগুলির রূপায়নের ক্ষেত্রে অনেক রকম চ্যালেঞ্জ আছে। অন্যতম হল জনগণের একাংশের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। এই প্রসঙ্গে ২০১৭ সালের এক ঘটনার উদাহরণ টেনে শিবকুমার জানান, বেঙ্গালুরুতে একটি ইস্পাতের ফ্লাইওভার তৈরির পরিকল্পনা ছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হতেই পিছিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিবকুমারে খোঁচা, প্রতিবাদ দেখে ওঁরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। তিনি হলে, আন্দোলনে পিছিয়ে আসতেন না। প্রকল্পটি রূপায়ন করেই ছাড়তাম। যদিও ওইদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু সরকার গঠনের এক মাসের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে উপমুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য সরকার টিকে থাকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সামল দিতে আসরে নেমেছেন কর্নাটকের মন্ত্রিসভার সদস্য প্রিয়ঙ্ক খাড়্গে। তাঁর কথায়, সিদ্দারামাইয়া ভীতু নন। কিন্তু তিনি জনমত উপেক্ষা করেন না। তবে, প্রিয়ঙ্ক যতই বলুন না কেন, যেভাবে প্রকাশ্য মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর কাজিয়া সামনে আসছে, তাতে যে কোনও সময়েই কর্নাটকের অবস্থা ‘রাজস্থান ২’ হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলে।

আরও পড়ুন- ফের রাজধানী শহরে তা.ণ্ডব দু.ষ্কৃতীদের! কাশ্মীরি গেটে সর্বস্ব লুট ব্যবসায়ীর  

 

Previous articleকানাডায় চাকরির নয়া সুযোগ! উচ্ছ্বসিত ভারতীয়রা
Next articleপ্রশ্নের মুখে যোগী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা! প্রকাশ্যে ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে গু.লি