পাক চরকে গোপন তথ্য পা.চার DRDO বিজ্ঞানীর! প্রদীপের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ ATS-র

গোয়েন্দারা সাফ জানিয়েছেন, হানি ট্র্যাপের ফাঁদে পড়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বিজ্ঞানী। পাশাপাশি ইতিমধ্যে হাতে কিছু ‘বিস্ফোরক’ চ্যাটও এসেছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।

মাস তিনেক আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। প্রতিরক্ষা বিষয়ক একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি পাকিস্তানের (Pakistan) গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে (ISI) চালান করার অভিযোগে এবার ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থার বিজ্ঞানী (DRDO Scientist) প্রদীপ কুরুলকরের (Pradeep Kurulkar) বিরুদ্ধে চার্জশিট (Charge Sheet) পেশ করল মহারাষ্ট্র পুলিশের (Maharashtra Police) জঙ্গি দমন শাখা। তাঁকে জেরায় জানা গেছে, ভারতের মিসাইল (Missile) ও ড্রোন (Drone) প্রোগ্রাম সংক্রান্ত বহু জরুরি তথ্য পাকিস্তানের গুপ্তচরের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি।

তবে গোয়েন্দারা সাফ জানিয়েছেন, হানি ট্র্যাপের (Honey Trap) ফাঁদে পড়েই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বিজ্ঞানী। পাশাপাশি ইতিমধ্যে হাতে কিছু ‘বিস্ফোরক’ চ্যাটও এসেছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। তা থেকেই বোঝা গিয়েছে, কোনও এক লাস্যময়ী আইএসআই এজেন্টের ফাঁদে পা দিয়েছেন প্রদীপ। তারপরেই তাঁর হাতে পৌঁছে গিয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণার নানা গোপন তথ্য। জানা গিয়েছে, ৬০ বছর বয়সি প্রদীপ পুণের ডিআরডিও-র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। গত ৩ মে সরকারি গোপনীয় তথ্য ফাঁসের অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’-এ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চার্জশিটে আরও জানানো হয়, হোয়াটসঅ্যাপের পাশাপাশি ভয়েস এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে আইএসআই এজেন্টের সঙ্গে প্রদীপের যোগাযোগের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে।

অন্যদিকে, তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় জারা দাশগুপ্ত এবং জুহি অরোরা নামে দু’জনের সঙ্গে আলাপ জমে ওই বিজ্ঞানীর। তবে দুটিই ছিল ভুয়ো অ্যাকাউন্ট, যা পরিচালনা করতেন এক আইএসআই এজেন্ট। এমনভাবেই ফাঁদ পেতেছিল ওই এজেন্ট, যে জারা ও জুহির প্রেমে রীতিমতো হাবুডুবু খেতে থাকেন প্রদীপ। জারার সঙ্গেই অবশ্য বেশি জমে প্রদীপের প্রেম। তিনি কোনওভাবেই আন্দাজ করতে পারেননি, জারার অ্যাকাউন্ট দু’টির আড়ালে আদৌ কোনও মহিলা নেই! যৌন লালসায় রীতিমতো বুঁদ হয়ে দেশের একাধিক গোপন নথি আইএসআই-এর হাতে তুলে দেন প্রদীপ।

তবে এখানেই শেষ নয়। দীর্ঘ ৫ মাস ধরে এই আইএসআই এজেন্টদের সঙ্গে কথোপকথন চলে ডিআরডিও বিজ্ঞানী প্রদীপের। শেষে চলতি বছরের মার্চ মাসে তাঁর উপর সন্দেহ হয় ডিআরডিও কর্তৃপক্ষের এবং সেখান থেকে বিষয়টি জানানো হয় মহারাষ্ট্র এটিএস-কে। তদন্তের পরে মে মাসে প্রদীপকে গ্রেফতার করে এটিএস (ATS)।

 

 

 

Previous articleভারত বিরোধী কার্যকলাপ হলেই ‘দেশ থেকে বের করে দিন’,পরামর্শ ডোভালের
Next article৫১-তে মহারাজ, রাত ১২টায় পরিবারের সঙ্গে কেক কেটে জন্মদিন পালন সৌরভের