সোনিয়া রাহুলের মাঝে মমতা, সভার মাঝে লালুর প্রশ্নে অস্বতিতে কংগ্রেস-সিপিএম

এদিন হঠাৎ সভার মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি প্রশ্ন করে বসলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব। যা শুনে সকলে রীতিমতো চমকে উঠলেন

চব্বিশের লড়াই MODI vs INDIA. লোকসভার লড়াই NDA vs INDIA. বেঙ্গালুরুতে কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল বিজেপি বিরোধী অবিজেপি গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ জোট। এই জোটের অন্যতম মুখ যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন মেগা বৈঠকের ছবিতেও সেটা পরিস্কার। বৈঠকে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকেও রাহুলের পাশে মমতা। অর্থাৎ সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধিতায় এককাট্টা কংগ্রেস ও তৃণমূল।

তবে এদিন হঠাৎ সভার মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি প্রশ্ন করে বসলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব। যা শুনে সকলে রীতিমতো চমকে উঠলেন।
লালুর প্রশ্ন, “পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে বাম-কংগ্রেসের তীব্র আক্রমণ কেন?” জানা গিয়েছে,
সনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি ও সীতারাম ইয়েচুরির সামনেই এমন অস্বস্তিকর প্রশ্ন করে বসেন আজ লালু প্রসাদ যাদব। লালুর এমন কথায় কিছুটা হলেও অস্বতিতে পড়েন অনেকে।

জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে জোট নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন কেন অন্যতম সহযোগী দল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন আরও একজন শরিক লালু প্রসাদ যাদব৷ যদিও এই নিয়ে কোনও পক্ষই প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।

তবে এদিনের বৈঠকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে
একটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। বিরোধী বৈঠকে ২৬টি দল একসঙ্গে রয়েছে এবং ১১টি রাজ্য সরকারে প্রতিনিধি রয়েছে। এই দলগুলির মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্য ও আঞ্চলিক স্তরে বিরোধিতা রয়েছে। তাহলে কেন্দ্রীয় স্তরে কীভাবে একজায়গায় আসা সম্ভব, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মঙ্গলবার রাজ্য স্তরে বিরোধী দলগুলির মধ্যে পার্থক্যের কথা স্বীকার করেছেন। তবে উল্লেখ করেছেন যে এই পার্থক্যগুলি বড় নয় যে সাধারণ মানুষের স্বার্থে এগুলিকে পিছনে রাখা যাবে না।

তাঁর কথায়, “আমরা সচেতন যে রাজ্য স্তরে, আমাদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। এই পার্থক্যগুলি আদর্শগত নয়। এই পার্থক্যগুলি এত বড় নয় যে আমরা সাধারণ মানুষ এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে ভুগছে এমন মধ্যবিত্তের জন্য, আমাদের যুবকদের জন্য যারা বেকারত্বে ভুগছে, দরিদ্রদের স্বার্থে, অথবা দলিত, আদিবাসী এবং সংখ্যালঘু যাদের অধিকার পর্দার আড়ালে চুপচাপ চুরমার করা হচ্ছে তাদের স্বার্থে পিছনের সারিতে রাখতে পারি না’।

এবার দেখার এই রাজ্যের কংগ্রেস ও সিপিএম নেতারা কথায় কথায় তৃণমূলকে শুধু বিরোধিতার জন্যই বিরোধিতা করে কিনা।

 

 

Previous articleইলিয়ানার হবু সন্তানের বাবা কে? ধোঁ.য়াশা কাটিয়ে প্রেমিককে সামনে আনলেন নায়িকা!
Next articleI.N.D.I.A-কে চ্যা.লেঞ্জ করবে BJP? জোট বৈঠক শেষে হু.ঙ্কার মমতার