সঙ্গীর সঙ্গে মতপার্থক্যে ধ.র্ষণবিরোধী আইনকে ব্যবহার করছেন মেয়েরা, পর্যবেক্ষণ উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের

গত ৫ জুলাই এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা খারিজ করে দেয় উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। এক মহিলা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৩০ জুন অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

মারাত্মক প্রবণতা। সঙ্গীর সঙ্গে মতপার্থক্য হলে ধর্ষণবিরোধী আইনকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছেন মেয়েরা। একটি মামলার রায়ে এমনই জানাল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট অনেক আগেই জানিয়েছিল, দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সম্পর্ক বিয়ে অবধি না গড়ালেও, তাঁদের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে তৈরি হওয়া শারীরিক সম্পর্ককে ধর্ষণ বলা যাবে না। উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের রায়েও প্রায় একই পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গত ৫ জুলাই এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা খারিজ করে দেয় উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। এক মহিলা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৩০ জুন অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৫ সাল থেকে তাঁদের দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। অভিযোগকারিণীর দাবি অনুযায়ী, অভিযুক্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে চাকরি পেয়ে তিনি বিয়ে করবেন। কিন্তু পরে অন্য এক মহিলাকে ওই ব্যক্তি বিবাহ করেন বলে অভিযোগ।অবশ্য অভিযোগকারিণীর বক্তব্য অনুযায়ী, তারপরেও তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল।

পুরো ঘটনা শোনার পর, উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট  জানিয়েছে, পুরুষ সঙ্গী বিবাহিত জেনেই অভিযোগকারিণী স্বেচ্ছায় তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিলেন। সে ক্ষেত্রে সম্মতির বিষয়টি এখানে সবসময়েই ছিল। এই প্রসঙ্গেই উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের বিচারপতি শরদকুমার শর্মার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ নম্বর অনুচ্ছেদ (ধর্ষণবিরোধী আইন)-এর অপব্যবহার করছেন কেউ কেউ।এই প্রবণতা বন্ধ হওয়া উচিত।

 

Previous articleমানহানির মিথ্যা অভিযোগ! তহেলকাকে বড় অঙ্কের জরিমানার নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের
Next articleএমবাপেকে দলে নিতে বিরাট প্রস্তাব সৌদির ক্লাব আল হিলালের