হাই টেনশন তারে স্পর্শ লাগতেই দ.গ্ধ যুবক!ভর্তি হাসপাতালে

ছাদের পাশেই হাই টেনশন তার। আর তার পাশেই বাড়ি। কিন্তু ছাদে উঠে আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়ে যে তারে হাত লাগতে পারে, তা কল্পনাতীত ছিল। কিন্তু বিকেলে ছাদে উঠে সেই অঘটনই ঘটল।তারে আটকে ছটফট করতে থাকেন এক তরুণ।হাই ভোল্টেজ তার থেকে তরুণকে নামাতে কেউ সাহসও পায়নি। মঙ্গলবার বিকেলে আনন্দপুরের ই এম বাইপাস লাগোয়া মার্টিনপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা তরুণকে কোনওরকমে নামিয়ে আনেন। দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়।


আরও পড়ুনঃ একাধিক রেকর্ড গড়ার দিনে সূর্যকুমারের বি*স্ফোরক মন্তব্য নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

পুলিশ জানিয়েছে, আহত তরুণের নাম নাজিবুল শেখ। ক্যানিংয়ের কাছে জীবনতলার বনমালীপুরের বাসিন্দা নাজিবুল পেশায় শ্রমিক। জলের পাইপ সারানোর কাজ করেন তিনি।মঙ্গলবার বিকেলে একটি বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিলেন নাজিবুল। ছাদে উঠে আগাছা পরিষ্কারের সময়েই হাই ভোল্টেজ তারে হাত লেগে যায় তাঁর। তারপর তারের সঙ্গে আটকেই ঝুলতে থাকেন তিনি। আশপাশের বাড়ির লোকজন তরুণের আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন। বীভৎস দৃশ্য দেখে সকলেই আঁতকে ওঠেন। সেসময় তারের সঙ্গে আটকে ছটফট করছেন এক তরুণ। হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎবাহী তার থেকে তরুণকে উদ্ধার করা অসম্ভব দেখে স্থানীয়রা খবর দেন বিদ্যুৎ দফতরে। খবর যায় পুলিশে। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা এসে তরুণকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।


কসবায় রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থার সাব স্টেশনের হাই-টেনশন লাইনে ছোঁয়া লেগেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয়রা বলছেন, হাই টেনশন তারগুলো বাড়ির গা ঘেঁষে গিয়েছে। খুবই বিপজ্জনকভাবে থাকে সেগুলো। এর আগেও একটি বাচ্চা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (হয়ে মারা গিয়েছিল। তবে বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, হাই ভোল্টেজ তারগুলো যে উচ্চতায় থাকা দরকার, সেভাবেই ছিল। কিন্তু নিয়ম না মেনেই বাড়িগুলির উচ্চতা বাড়ানো হয়েছে। বহুতলগুলির বেআইনি নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পুরসভার বক্তব্য, কোনও বেআইনি নির্মাণ হয়নি এলাকায়। যে বাড়িগুলোর গা ঘেঁষে হাই টেনশন তার গেছে সেগুলো অনেক পুরনো। তবে গোটা পরিস্থিতিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Previous articleEntertainment: পুরোহিতদের তো.প, আদৌ মুক্তি পাবে OMG 2!
Next articleমন্ত্রিসভায় 3 languages ফর্মুলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনও ভাষা চাপানো হবে না: স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর