ভারত-কানাডা সং.ঘাতের মাঝেই ‘অবস্থান’ স্পষ্ট করল আমেরিকা! চরম অস্বস্তিতে নয়া দিল্লি 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মন্ত্রকের নজরে এসেছে, বিদেশে থাকা এক ব্যক্তি যার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী হামলা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে, যে ভারতের একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য তাকে টিভি চ্যানেলে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে।

সময় যত গড়াচ্ছে কানাডার (Canada) সঙ্গে ভারতের (India) কূটনৈতিক সংঘাত চরমে পৌঁছচ্ছে। গত সোমবার থেকে কানাডার সঙ্গে কূটনৈতিক যুদ্ধ শুরু হয়েছে ভারতের। আর এমন আবহে আমেরিকার সমর্থন পেল কানাডা (Canada)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) উপদেষ্টা জাকে সুল্লিভান আমেরিকার (America) এই অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। উপদেষ্টার সাফ কথা তাঁরা কানাডার অভিযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এদিকে ভারত ও কানাডার বিতর্কের মধ্যেই এবার টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নির্দেশে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও জঙ্গিকে যেন কথা বলার জন্য জায়গা করে দেওয়া না হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মন্ত্রকের নজরে এসেছে, বিদেশে থাকা এক ব্যক্তি যার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী হামলা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে, যে ভারতের একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য তাকে টিভি চ্যানেলে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। ওই ব্যক্তি এমন অনেক মন্তব্য করেছে যা ভারতের জন্য অসম্মানজনক, ভারতের সুরক্ষার জন্য বিপজ্জনক। উল্লেখ্য সম্প্রতি গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নু নামে একজন ‘ওয়ান্টেড’ জঙ্গিকে একটি টিভি চ্যানেলে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। তারপরেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। যদিও ওই নির্দেশিকায় পান্নু কিংবা কানাডার নাম উল্লেখ করা হয়নি।

শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডের পিছনে ভারত সরকারের এজেন্সির হাত আছে বলে সে দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justine Treadeau)। এই প্রসঙ্গেই বাইডেনের উপদেষ্টার মন্তব্য, এই ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে আমরা বিশেষ সম্পর্কের জন্য কোনও দেশকে ছাড় দিই না। আমরা আমাদের অবস্থান রক্ষা করে চলি। বাইডেনের উপদেষ্টার বক্তব্য, এই ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তিনি সাফ জানিয়েছেন, দেশ ও জাতি নির্বিশেষে আমরা পাশে দাঁড়াই এবং আমাদের মৌলিক নীতিগুলি রক্ষা করি।

তবে দু সপ্তাহও গড়ায়নি দিল্লিতে জি ২০ সম্মেলনে যোগ দিয়ে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগামী বছর প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টকেই বিশেষ অতিথি হিসাবে পেতে আগ্রহী নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই সব ইতিবাচক অগ্রগতি যে কোনওভাবেই কানাডার বিরুদ্ধে ভারতের তোলা অভিযোগের ব্যাপারে আমেরিকার অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না তাও এদিন স্পষ্ট করে দেন বাইডেনের উপদেষ্টা।

 

 

 

Previous article“ভাইপো” মন্তব্য করতেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে জ্যোতি বসুর ছেলের কে.লেঙ্কারি স্মরণ করালেন কুণাল
Next article“৩৪ বছরের খরা কাটিয়ে বাংলায় সোনা ফলাচ্ছেন দিদি”, দুবাইয়ে বললেন শিল্পপতিরা