রাতারাতি হিরো হয়ে উঠেছে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ‘মুরসালিম’। আর হবেই না কেন? কারন তার উপস্থিত বুদ্ধির জোরেই বড়সড় বিপত্তির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে আপ শিয়ালদহ-শিলচর কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই বালক যাত্রীবাহী সুপারফাস্ট ট্রেনের কয়েকশো যাত্রীর জীবন বাঁচিয়েছে। সেই ছবিই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুর বেলা। ঘটনাটি ঘটে মালদা জেলার ভালুকা রেল স্টেশনের কাছে।

মুরসালিম মালদা জেলার কড়িয়ালী বারিনওয়ার মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র। কিভাবে সেএই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা করলো? জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ মুরসালিম ঘটনাস্থল দিয়ে ফিরছিল। হঠাৎ সেই সময় তার চোখে পড়ে রেল লাইনের বিশাল গর্ত হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই লাইনের উপর দিয়েই ছুটে আসছে সুপারফাস্ট ট্রেনটি। লাইনে এমন গর্ত থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে সেই কথা মাথায় রেখে মুরসালিম তার পরনে থাকা লাল টি শার্ট খুলে ট্রেনটির দিকে দৌড়াতে শুরু করে। লাল কাপড় নিয়ে কেউ ছুটে আসছেন এমন দেখে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালক এমার্জেন্সি ব্রেক করে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। দুর্ঘটনার কবল থেকে এইভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে রক্ষা করে মুরসালিম।

ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে মুরসালিমের। এই ভিডিও দেখে রীতিমত স্তম্ভিত রেলকর্তারাও। ইতিমধ্যেই এনএফ ডিভিশনের রেলকর্তারা খোঁজ খবর নিয়েছেন মুরসালিমের। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার প্রত্যন্ত গ্রাম কড়িয়ালী আজ খবরের শিরোনামে। গ্রামজুড়ে চলছে উদযাপন। ক্ষুদের সাহসিকতা গল্প জেলা জুড়ে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মুরসালিমের বাড়ি ছুটে যান রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, এমন সাহসি ছেলের জন্য গর্ব হয়। রেলদফতরের উচিত এমন বাহাদুর ছেলের পাশে দাঁড়াক। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে খুদে এই ছেলেকে পুরুষ্কৃত করা হবে। এনএফ ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দর কুমার জানান ডিভিশনের একটি টিমকে মুরসালিমের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাহসিকতার সম্মান দেওয়ার জন্য রেলদফতরে সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে।
