‘অরাজনৈতিক’! গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে শুভেন্দুর পাশে কৌস্তভ, বিশৃ.ঙ্খলা তৈরির ব্যর্থ চেষ্টা

বুধবার নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে পথে নামেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। আর নিজেদের নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে শহরে মিছিলের নামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিজেপি-কংগ্রেসের।

মুখেই ‘অরাজনৈতিক’ মিছিলের দাবি। তবে বাস্তবে গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে (Group D Agitation) ফের রামধনু জোটের আঁতাত। না, রাজনৈতিক দলের কোনও পতাকা দেখা না গেলেও গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে রাজনীতির রঙ লাগানোর চেষ্টা বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ও মাথা মুড়িয়ে ফেলা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী (Kaustav Bagchi)। বুধবার নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে পথে নামেন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। আর নিজেদের নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে শহরে মিছিলের নামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিজেপি-কংগ্রেসের। মুখে যতই না বলুন না কেন রাজনীতির ময়দানে বিজেপি (BJP) ও কংগ্রেস (COngress) যে একে অপরের ‘দোসর’ তা আবারও দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। রাজনীতিগতভাবে লড়াই করতে না পেরে এবার চাকরিপ্রার্থীদের জোর করে ভুল বুঝিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের রাস্তায় নামার নয়া কৌশল শুভেন্দু, কৌস্তভের।

সোমবার ক্যামাক স্ট্রিট ঠেকে শুরু হয় মিছিল। মিছিলের প্রথমদিকে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্ল্যাকার্ড হাতে দেখতে পাওয়া যায় দলবদলু শুভেন্দু ও কৌস্তভকে। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ মিছিলে অংশ নেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। কিন্তু, এদিন সাংবাদিকরা তাঁর সঙ্গে কৌস্তভের থাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে দলবদলুর সাফাই, কে থাকবেন কে থাকবেন না সেটা তাঁর বিষয় নয়। এরপরই দলবদলু জানান, তিনি মিছিলে এসেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে, বিজেপি নেতা হিসাবে নয়। ফলে অন্য কে তাঁর সঙ্গে থাকবেন সেটা তাঁর দেখার কথা নয়। এরপরই শুভেন্দুর জবাব, গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে যে বঞ্চনা হচ্ছে তাঁর প্রতিবাদে এবং চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকতেই নাকি তিনি মিছিলে এসেছেন। তবে শুভেন্দুর এমন মন্তব্যের পরই বিরোধীদের প্রশ্ন, বিরোধী দলনেতা হিসাবে তিনি যখন মিছিলে পা মেলাচ্ছেন, তখন তাঁর ভেবে দেখা উচিত তিনি বিরোধী দলনেতা হিসাবে কোনও না কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। অন্যদিকে, এদিন শুভেন্দু আসার বেশ খানিকক্ষণ আগেই মিছিলে এসে পৌঁছন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ। মিছিলে তাঁর সঙ্গে শুভেন্দুর হাঁটা প্রসঙ্গে কৌস্তভের সাফাই, এখানে কোনও কংগ্রেসের পতাকা নেই, বিজেপিরও পতাকা নেই। তাই এখানে না হাঁটার কোনও কারণ নেই। আমি ব্যক্তি কৌস্তভ বাগচী হিসাবে, আইনজীবী হিসাবে এখানে এসেছি। তাই এটা নিয়ে আলাদা করে জল্পনা করার কিছু নেই।

তবে দুজনেই যতই বলুন, একজন বিরোধী দলনেতা হিসাবে এসেছেন এবং একজন আইনজীবী হিসাবে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে মিছিলে যোগ দিতে এসেছেন। তবে বিষয়টি যে একেবারেই ‘অরাজনৈতিক’ নয় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে উঠতে শুরু করেছে বিস্তর প্র্বশ্ন। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে নিজেদের নীতি আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে কর্মব্যস্ত দিনে শহরকে অচল করার চেষ্টায় পথে নেমেছেন কৌস্তভ ও শুভেন্দু। তবে এদিন মিছিল উপলক্ষে সকাল হতেই তৎপর পুলিশ। একাধিক জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী। মিছিলের নামে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়লেই কড়া হাতে তা প্রতিরোধ করছে পুলিশ। যদিও বুধবারের মিছিলের অনুমতি নিয়ে জল গড়িয়েছিল হাইকোর্টে। পরে ক্যামাক স্ট্রিট থেকেই মিছিল শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়।

 

 

 

Previous articleখালি.স্তানের শিকড় উপড়ে ফেলতে মরিয়া NIA, ৬ রাজ্যের ৫০ জায়গায় তল্লাশি
Next articleফের ‘অনুকরণ’: রাজ্য সরকারের ধাঁচ রাজ্যপালের ‘পুজো-পুরস্কার’