কেন বায়োপিক? অকপট মুথাইয়া, মুরলিকে ‘জাদুকর’ বললেন মহারাজ

সাংবাদিকরা জানতে চান, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক কোন নামে অভিহিত করবেন। 'প্রিন্স অফ ক্যালকাটা' বিন্দুমাত্র না ভেবে বলেন, " জাদুকর" আর তাঁর প্রিয় প্রথম তিন তারকা হলেন মুরলি, সচিন আর ম্যাকগ্রা।

শহরে এসেছেন টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের (History of Test Cricket)৮০০ উইকেটের মালিক। ওয়ান ডে ম্যাচে ৫৩৪ উইকেট তাঁর দখলে। এইরকম এক লেজেন্ডকে সামনে পেয়ে ক্রিকেট প্রেমী কলকাতাবাসী আসন্ন বিশ্বকাপের প্রশ্ন করবে না তাও কী হয়! কথা ছিল মুথাইয়া মুরলিধরনের (Muttiah Muralitharan)আসন্ন বায়োপিক ‘800’ (Eight Hundred)-এর ট্রেলার থেকে শুরু করে সিনেমার গল্প নিয়ে জমবে আড্ডা। কিন্তু লক্ষ্মীবারে শহরের পাঁচতারা হোটেলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আর মুথাইয়া মুরলিধরনকে (Saurav Ganguly & Muttiah Muralitharan)একসঙ্গে পেয়ে বিনোদনের মঞ্চ যেন হয়ে উঠল ২২ গজের নস্টালজিয়া। শ্রীলঙ্কার স্পিনারের বায়োপিকে মুরলিধরণের ভূমিকায় দেখা যাবে স্লামডগ মিলিয়নেয়ার খ্যাত মধুর মিত্তালকে (Madhur Mittal)। এদিন দাদা আর মুথাইয়াকে এভাবে সামনে থেকে দেখে তিনিও যেন বাক্যহারা।

মুথাইয়া মুরালিধরণের বায়োপিক ‘800’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী অক্টোবরে। তারই প্রচারে বৃহস্পতিবার কলকাতায় এলেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটার। তিনি এসেছেন আর তাঁর সঙ্গে সৌরভ দেখা করবেন না তাও কী হয়! মুথাইয়ার বায়োপিকের কথা বলতে গিয়ে বাংলার মহারাজ বললেন, শুধু মেরুদণ্ড নয় বরং শ্রীলংকা টিমের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নাম মুরলি। তিনি বলেন, একবার রাহুল জানতে চেয়েছিলেন যে কীভাবে এই বোলারকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব? সৌরভ জানান, এর উত্তর একটাই। মুরলির থেকে বাঁচার উপায় নেই বরং ঝুঁকি না নিয়ে এক- দুই রানের দিকে লক্ষ্য দেওয়া উচিত। যৌবন কালে বিধ্বংসী হলেও বয়স্ক মুরলিকে খেলাই বেশি কঠিন ছিল। সাংবাদিকরা জানতে চান, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক কোন নামে অভিহিত করবেন। ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটা’ বিন্দুমাত্র না ভেবে বলেন, ” জাদুকর” আর তাঁর প্রিয় প্রথম তিন তারকা হলেন মুরলি, সচিন আর ম্যাকগ্রা।

বায়োপিকের প্রমোশনে নস্টালজিক মুথাইয়া। তিনি জানালেন, সৌরভ টিম ইন্ডিয়াকে যেভাবে তুলে ধরেছেন সেটা ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে সত্যি একটা মাইলস্টোন। এমনকী ২০০৩ সালের ইন্ডিয়া বনাম অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল ম্যাচের স্মৃতিও ফিরে আসে লঙ্কান ক্রিকেটারের কথায়। অফ ব্রেক বোলার ৯৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী টিমের অংশ। বায়োপিকে সেই ঘটনা যেমন থাকছে তেমনই তারকার ব্যক্তিগত জীবনের সত্যি ঘটনা এই সিনেমায় উঠে এসেছে। মুরলি বলেন,”আমি পরিচালককে বলেছিলাম সত্যিকারের গল্প হওয়া দরকার। কোনও মশলা মেশানোর প্রয়োজন নেই। সত্যি বলতে আমি খুবই লাজুক প্রকৃতির মানুষ। বায়োপিক নিয়ে প্রথমে ইতস্তত ছিলাম। আমার সেভাবে সম্মতি ছিল না। সালটা ছিল ২০১৮। আমার বন্ধু ও পরিচালক ভেঙ্কট প্রভু আমাকে বায়োপিকের কথা বলেছিল। এরপর আমার ম্যানেজার আমাকে বলে যে, আমাকে নিয়ে বায়োপিক হলে আমার ফাউন্ডেশন অনেক উপকৃত হবে। তখন আমি খুশি খুশিই রাজি হয়ে যাই। ” এদিন অনুরাগীদের অনুরোধে লাল বল হাতে স্পিনের জাদুও দেখান তিনি।

সিনেমার কেন্দ্রবিন্দুতে যে অভিনেতা সেই মধুর মিত্তালকে এদিন গুরুত্বহীন দেখায়। দুই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আইকনের আলোয় তিনি যে আড়াল হয়ে গেলেন সেটা স্পষ্ট। ছবি মুক্তি পাবে বিশ্বকাপের আমেজে আগামী ৬ অক্টোবর। সৌরভ এবং মুরলি দুজনেই নিজেদের দেশের বিশ্বকাপ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

Previous articleএশিয়ান গেমসে পঞ্চম দিনেও ভারতের সাফল্য, শুভেচ্ছা মুখ‍্যমন্ত্রীর
Next articleবাংলাতেই রাজনীতি হয়, স্পেনে দাঁড়িয়ে শিল্পলগ্নি নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার কড়া জবাব সৌরভের