‘অসমে তৃণমূলকে আসন ছাড়তে সমস্যা নেই’! পরিস্থিতি বুঝে ‘সুর নরম’ কংগ্রেসের

সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচনে দুই থেকে পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিতে চাইছে জোড়াফুল শিবির। অসম থেকে সেই খবর ইতিমধ্যে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, কংগ্রেসের এই বিষয়ে তেমন কোনও আপত্তি নেই।

গত মঙ্গলবারই কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অসম তৃণমূলের সভাপতি রিপুন বোরা (Ripun Bora)। ইন্ডিয়া-র (INDIA) জোট শরিক হিসেবে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কৌশল কী হতে পারে, তা নিয়েই দুজনের মধ্যে আলোচনা হয় বলে অসমর্থিত সূত্রে খবর। এবার সেই বৈঠকের ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পরিস্থিতি বুঝে বড় ঘোষণা কংগ্রেসের। ‘ইন্ডিয়া’ জোটের স্বার্থে অসমে তৃণমূল কংগ্রেসকে আসন ছাড়তে তাদের কোনও সমস্যা নেই। শুক্রবার কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে এমন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তৃণমূল ঠিক কতগুলি আসনে প্রার্থী দেবে তা শীঘ্রই হাত শিবিরকে জানাতে হবে বলে খবর।

সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচনে দুই থেকে পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিতে চাইছে জোড়াফুল শিবির। অসম থেকে সেই খবর ইতিমধ্যে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, কংগ্রেসের এই বিষয়ে তেমন কোনও আপত্তি নেই। হাত শিবির শুধু দেখতে চাইছে তৃণমূল কটি আসন চাইছে। এদিকে মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী)-র মতো দলগুলি দ্রুত আসন সমঝোতার দাবি তুলেছিল। তাঁদের বক্তব্য, আসন সমঝোতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেলে এখন থেকেই লোকসভা নির্বাচনের জন্য ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়বে তাঁরা। যদিও কংগ্রেস এই নিয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিতে চাইছে। কারণ হাত শিবিরের চিন্তা বাড়াচ্ছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল। তবে অসম কংগ্রেসের এক সর্বভারতীয় নেতার কথায়, তৃণমূল যদি অসমে প্রার্থী দিতে চায়, তবে তাতে কোনও অসুবিধা হবে না। কংগ্রেস মনে করছে, সন্তোষমোহন দেব-সুস্মিতা দেবদের শিলচর এবং অসম রাজ্য সভাপতির এলাকা তেজপুর আসন দাবি করতে পারে তৃণমূল।

এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস মনে করছে, সন্তোষমোহন দেব, সুস্মিতা দেবদের শিলচর এবং অসম রাজ্য সভাপতির এলাকা তেজপুর আসন দাবি করতে পারে তৃণমূল। অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আগামী নভেম্বর মাসেই অসমে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অন্য রাজ্যেও যে তারা প্রার্থী দেবে, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার তাতে সিলমোহর পড়ল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

 

 

 

 

 

Previous articleকমছে সোনার দাম, পুজোর আগে স্বস্তি মধ্যবিত্তের মনে
Next articleএবার গামছার মণ্ডপে চমক দিতে প্রস্তুত ব্যান্ডেলের মেরি পার্ক