কীভাবে শ্রমিকদের বাইরে আনার পরিকল্পনা, উ.দ্ধাকারীদের পরবর্তী পদক্ষেপই বা কী হবে?

ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য পাইপ বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। পাইপটি ৮.৫ মিটার চওড়া।তার মধ্য দিয়ে একজন করেই বের হতে পারবেন।

রুদ্ধশ্বাস ১৭ দিন পর, মঙ্গলবার সন্ধেতে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গের অন্ধকূপ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারের আশার আলো দেখা যাচ্ছে। তিন-তিনবার ড্রিল মেশিন ভেঙে থমকে গিয়েছে এই উদ্ধার অভিযান।শেষ পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে ইঁদুরের মতো গর্ত খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধারের জন্য পাইপ বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। পাইপটি ৮.৫ মিটার চওড়া।তার মধ্য দিয়ে একজন করেই বের হতে পারবেন।

পাইপ বসানো সম্পূর্ণ হওযার পর, কীভাবে শ্রমিকদের বাইরে আনার পরিকল্পনা করেছেন উদ্ধারকারীরা? শ্রমিকদের বাইরে আনার পর, উদ্ধাকারীদের পরবর্তী পদক্ষেপই বা কী হতে চলেছে? জেনে নিন এক নিমেষে।

৮.৫ মিটার প্রশস্ত পাইপটি দিয়ে একেকজন করে শ্রমিকদের বাইরে বের করে আনার পরিকল্পনা করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। চাকা লাগানো স্ট্রেচারে শুইয়ে দড়ি দিয়ে পাইপ-পথ ধরে তাঁদের টেনে বের করা হবে। এনডিআরএফ-এর ডিজি জানিয়েছেন, ৮.৫ মিটার প্রশস্ত পাইপটি একজন করে শ্রমিকের বের হওয়ার জন্য যথেষ্ট চওড়া। তবে, দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা শ্রমিকদের পক্ষে তা সম্ভব নয়। তাই, চাকা লাগানো স্ট্রেচারই ভরসা।

প্রথমে এনডিআরএফ-এর সদস্যরা পাইপের ভিতর দিয়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে যাবেন। তাঁদের সঙ্গে ভিতরে যাওয়ার কথা এক চিকিৎসকেরও।

যাতে শ্রমিকদের বের করার সময় ধ্বংসস্তুপের কোনও টুকরো বাধা না সৃষ্টি করে, তার জন্য প্রথমেই ৮.৫ মিটার চওড়া পাইপটি পরিষ্কার করা হবে। তারপর, তাদের সঙ্গে থাকা সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করে শ্রমিকদের বাইরে পাঠাতে শুরু করবেন এনডিআরএফ-এর জওয়ানরা। বাইরে থেকে দড়ি ধরে টেনে এক এক করে আটকে থাকা শ্রমিকদের সুড়ঙ্গের বাইরে বের করা হবে।

সুড়ঙ্গ থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাতে শ্রমিকদের চিকিৎসা দেওয়া যায়, তার জন্য এদিন সুড়ঙ্গের ভিতরে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের বাইরে বের করার পর, যদি কোনও সমস্যা হয়, সেই ক্ষেত্রে তাদের সেখানেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। এর জন্য উত্তরাখণ্ড স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সুড়ঙ্গের ভিতর ৮টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দলও রয়েছে।

সুড়ঙ্গের বাইরেই রয়েছে বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্সও। বাইরে আসার পর, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হবে চিনিয়ালিসাউর হাসপাতালে।

সেখানে এই শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্যই ৪১টি শয্যার একটি বিশেষ ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হবে শ্রমিকদের। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হবে।

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে ইঁদুরের মতো গর্ত খুঁড়ে শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজ চলছিল। সেই মাইক্রোটানেল খননের কাজ শেষ হয়েছে। আর কিছু পরেই সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের পরিবারকে প্রশাসনের তরফ থেকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর থেকে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন শ্রমিকেরা। সুড়ঙ্গের বাইরে প্রশাসনের পাশাপাশি অপেক্ষায় রয়েছে শ্রমিকদের পরিবার।

 

Previous articleকী হয়েছে বুমরাহ’র? সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেখে প্রশ্ন নেটিজেনদের
Next article৯৩ হাজার কোটির অসুরক্ষিত ঋণ! চিন্তা বাড়ছে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির