হাতে আর মাত্র মেরেকেটে মাস দেড়েক বাকি। নতুন বছরের জানুয়ারি মাসেই প্রতিবছরের মতো অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela)। ইতিমধ্যে মেলার প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। আর এমন আবহে গঙ্গাসাগরের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় অনুদানের দাবি তুলল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy) গঙ্গাসাগরের উন্নতিকল্পে কেন্দ্রীয় অনুদানের দাবি তোলেন।
এদিন সুখেন্দুশেখর জানান, সাগর দ্বীপের যেমন সুন্দর তটভুমি রয়েছে, তেমনই যুগযুগ ধরে বাংলার গঙ্গাসাগর তীর্থক্ষেত্র হিসাবে সারাদেশে জনপ্রিয়। তবে এখানেই এদিন থেমে না থেকে সুখেন্দু শেখর রায় রাজ্যসভায় যুক্তি দিয়ে প্রশ্ন তোলেন, গঙ্গাসাগরকে কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘দর্শন’ বা ‘প্রসাদ’ স্কীমের অন্তর্ভুক্ত করে ‘আধ্যাত্মিক’ বা ‘তটভূমি সার্কিট’ হিসেবে ঘোষণা করা সম্ভব কিনা। তবে উত্তরে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি. কিষণ রেড্ডি জানান, রাজ্য সরকার থেকে এমন প্রস্তাব এলে অবশ্যই বিবেচনা করে অর্থবরাদ্দ করা হবে।
এদিকে রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি মন্দিরের কিছু অংশ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মন্দিরে লেগেছে নতুন রঙের ছোঁয়া। সমুদ্রতটে পাড় বাঁধানোর কাজও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি মন্দিরের রাস্তার দু’ধারে থাকা খারাপ আলো সরিয়ে নতুন আলোও বসানো হচ্ছে। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। মন্দির চত্বরে তৈরি হচ্ছে পাকা নিকাশি নালা। তবে গঙ্গাসাগর দেশের তীর্থযাত্রীদের কাছে জনপ্রিয় হলেও তার উন্নয়নে বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ নেই মোদি সরকারের। আর সেকারণেই গঙ্গাসাগরের মেলার আগে যাতে তীর্থযাত্রীদের কোনওরকম অসুবিধা না হয় সেদিকটি মাথায় রেখেই এবার রাজ্যসভায় গঙ্গাসাগরের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় অনুদানের দাবি জানাল তৃণমূল।