সুনকের সিদ্ধান্তে সিলমোহর! বিবিসির চেয়ারম্যান পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সমীর

সমীর শাহ বলেন, “আমার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার মাধ্যমে আমি যদি আগামী বছরগুলোতে এই প্রতিষ্ঠানকে আরও উন্নত পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে সেটা আমার জন্য সম্মানের। তিনি আরও জানান, ব্রিটিশ নাগরিকদের জীবনে বিবিসির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই সংবাদ সংস্থার।

বিবিসির (BBC) চেয়ারম্যান (Chairman) পদে এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংবাদিক সমীর শাহ (Samir Shah)। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এবার সম্প্রচার বিভাগের উল্লেখযোগ্য সংস্থা বিবিসির (BBC) দায়িত্ব পেলেন তিনি। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এই ভারতীয় বংশোদ্ভূতর। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ঔরঙ্গাবাদে জন্মগ্রহণ করেন সমীর। ৭১ বছর বয়সী সমীর বর্তমানে জুনিপার কমিউনিকেশনের সিইও। তবে জানা যাচ্ছে, বিবিসির চেয়ারম্যান হিসাবে, সমীর সপ্তাহে ৩ দিন কাজ করবেন। যার জন্য তিনি বছরে ১.৬৭ কোটি টাকা বেতন পাবেন।

শাহ এর আগে বিবিসির বোর্ড পরিচালনা করতেন। তিনি বিবিসিতে রাজনীতি ও বর্তমান বিষয় সংক্রান্ত একাধিক উল্লেখযোগ্য খবর বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছেন। আর সেকারণেই ২০১৯ সালে শাহকে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁকে ‘কম্যান্ডার অফ দ্য মোস্ট এক্সেলেন্ট অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার’ পুরস্কারে সম্মানিত করেন। এদিকে বিবিসি চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর সমীর শাহ বলেন, “আমার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার মাধ্যমে আমি যদি আগামী বছরগুলোতে এই প্রতিষ্ঠানকে আরও উন্নত পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে সেটা আমার জন্য সম্মানের। তিনি আরও জানান, ব্রিটিশ নাগরিকদের জীবনে বিবিসির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই সংবাদ সংস্থা বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছে প্রতিদিন বিভিন্ন খবর পৌঁছে দেয়”। এরপরই সমীর জানান আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব প্রতিমুহূর্তে আমার যে দায়িত্ব তা যথাযথভাবে পালন করার।

উল্লেখ্য, ভারতের ঔরঙ্গাবাদে জন্মগ্রহণ করা শাহ ১৯৬০ সালে প্রথম ইংল্যান্ডে আসেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন লেখাপড়া করেছেন। পাশাপাশি ব্রিটিশ সরকারের জাতিগত ও জাতিগত বৈষম্য কমিশনের ২০২১ রিপোর্টের সহ-লেখক ছিলেন শাহ। তবে বিবিসির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমরা এই ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছি। খুব শীঘ্রই সমীর শাহ বিবিসি চেয়ারম্যান হিসাবে যোগদান করবেন। নির্বাচিত হয়েছেন এবং আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষ হলে তিনি বোর্ডে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বিবিসি একটি স্বাধীন সংস্থা হলেও এর চেয়ারম্যান নিয়োগ করে ব্রিটিশ সরকার। এদিকে বিবিসিতে রিচার্ড শার্পের জায়গায় তাঁকে আনা হল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে রিচার্ড শার্পের কথোপকথন ফাঁস হওয়ার পরই তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তবে বিবিসির সঙ্গে শাহের সম্পর্ক নতুন নয়। এর আগে ২০০৭-২০১০ সালের মধ্যে বিবিসির নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পদে ছিলেন তিনি। অতএব সব মিলিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই সাংবাদিকের হাত ধরেই নিজেদের গরিমা বজায় রাখার চেষ্টা করবে বিবিসি।

 

 

 

Previous articleমমতাকে কুমন্তব্য, গিরিরাজের পদত্যাগ চেয়ে দিল্লিতে সোচ্চার তৃণমূলের মহিলা সাংসদরা
Next articleটাকার পাহাড় গুণতে গিয়ে বি.গড়ে গেল যন্ত্র, না.কাল আয়কর আধিকারিকরা