আজকের দিনে কী কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

২০১৩

মিখাইল কালাশনিকভ

(১৯১৯-২০১৩) এদিন প্রয়াত হন। রাশিয়ার একে-৪৭ অস্ত্রের বিশ্ববিখ্যাত নির্মাতা ও নকশাকার। বিশ্বে অন্য যে কোনও আগ্নেয়াস্ত্রের চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে একে ৪৭-এর গুলিতে। কিন্তু কারিগরি দক্ষতার চিহ্ন হিসেবেও তা স্বীকৃত সারা বিশ্বে। রাশিয়ার কুরিয়েন্সকি জেলার এক কৃষক পরিবারে জন্ম মিখাইলের। এক সময়ে স্বপ্ন দেখতেন কৃষির উপকরণ তৈরির। পরে একটি ট্র্যাক্টর উৎপাদন কেন্দ্রে কাজ করার সময়ে ঘটনাচক্রে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন অস্ত্রশস্ত্রের দিকে। ১৯৪২ সাল থেকে তাঁকে সেনার রাইফেল উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁর পরবর্তী দু’টি নকশা কিছু পরিবর্তনের পরে গ্রহণ করে সেনা। তবে ১৯৪৭ সালে বাজিমাত করেন মিখাইল। আত্মপ্রকাশ করে একে-৪৭। ১৯৪৯ সালে সোভিয়েত সেনার ব্যবহারের অন্যতম অস্ত্র হয়ে ওঠে ওই রাইফেল। এর পরেও তাঁর ভাণ্ডার থেকে বেরিয়েছে একেএম, এ কে-৭৪-এর মতো অস্ত্র। হালকা আর জঙ্গল, মরুভূমি— সব যুদ্ধক্ষেত্রেই নিজের উপযোগিতার পরিচয় দেওয়ায় সারা বিশ্বে অসম্ভব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে কালাশনিকভ রাইফেল। কেবল সেনা নয়, নানা দেশে সক্রিয় বিপ্লবী ও জঙ্গিদের প্রিয় অস্ত্র হয়ে উঠেছিল এই অস্ত্র। বিভিন্ন সময়ে এই বিপ্লবী ও জঙ্গিদের সাহায্য করেছে নানা দেশের সরকার। মারাত্মক এই অস্ত্রের স্রষ্টা হিসেবে কি মনঃকষ্টে ভুগতেন কালাশনিকভ? এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, “না, আমি শান্তিতেই ঘুমোই। অন্য পথে ফয়সালা না করতে পেরে রক্তপাতকে বেছে নিয়েছেন রাজনীতিকরা। আমি নই।’’

১৯১৮ ও ১৯২১

১৯১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। এরপর ১৯২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর (১৩২৮ বঙ্গাব্দের ৮ পৌষ) রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতিতে আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল বিশ্বভারতীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশকে লেখা চিঠিতে যেন বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যের জবাবদিহি করতে শোনা যায় রবীন্দ্রনাথকে: “তুমি বলেচ, আমার দেশের লোক জিজ্ঞাসা করচে আজকের দিনের দেশের বর্ত্তমান চিত্তক্ষোভের মধ্যে এই বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার কি এমন প্রয়োজন? তার উত্তর এই যে বিশ্বভারতী আমার পক্ষে এবং আমার দেশের পক্ষে প্রয়োজনের সামগ্রী নয়— তার মধ্যে যে সত্য যে কল্যাণ আছে তা প্রয়োজনের অতীত— এইজন্যে তার পক্ষে কোনও সময়ই অসময় নয়— বরঞ্চ যে সময়ে বাহিরে তার প্রতিকূলতা, অর্থাৎ বাহিরের দিকে যেটা অসময়, সেইই তার প্রকৃত সময়।” পারস্পরিক শ্রদ্ধা অটুট রেখে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে মনের দীনতা দূর করে নিখিল বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে তাঁর বিশ্বভারতী, এই ছিল রবীন্দ্রনাথের ইচ্ছা।

১৮৪৫ রাসবিহারী ঘোষ

(১৮৪৫-১৯২১) এদিন খণ্ডঘোষের তোড়কোনায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৮৪ সালে ডক্টরস অফ ল ডিগ্রিতে সম্মানিত হন। দু’বার জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পান। ১৯১৩ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানচর্চার জন্য দশ লক্ষ টাকা দান করেন। আজকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে তাঁর অবদান অপরিসীম।

১৯০২

চৌধুরী চরণ সিং (১৯০২- ১৯৮৭) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী। কৃষক নেতা হিসেবে ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন।

২০০৪

পি ভি নরসিমা রাও (১৯২১-২০০৪) এদিন প্রয়াত হন। ভারতের নবম প্রধানমন্ত্রী। পুরো নাম পামুলাপর্তি ভেঙ্কট নরসিংহ রাও। অনেকেই অবশ্য মনে করেন যে বাবরি মসজিদ ভাঙার জন্য রাও দায়ী।

 

 

 

Previous articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে