শুভেন্দুর আলটপকা মন্তব্যের পাল্টা তীব্র কটাক্ষ রাজ্যপাল বোসের

বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) দরবারে গিয়ে বাংলার বকেয়া নিয়ে সওয়াল করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। আর বোসের এই পদক্ষেপে কিছুটা হলেও চরম আশঙ্কায় ভুগছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা গদ্দার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবারই রাজ্যপালের বাংলার বকেয়া মিটিয়ে দিতে অমিত শাহকে অনুরোধ জানান। সূত্রের খবর, বাংলার প্রতি বঞ্চনা না করে টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন তিনি। আর তাতেই বেঁকে বসে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নিজের মান রাখতেই একের পর এক ‘মনগড়া’ অভিযোগ শুভেন্দুর। বাংলার টাকা আটকে রাখার চক্রান্তের পিছনে প্রথম থেকেই কেন্দ্রের শীর্ষ নেতৃত্বের কানে বিষ ঢেলে আসছেন শুভেন্দু। আর সেখানে রাজ্যপাল অমিত শাহের দরবারে গিয়ে বাংলার হয়ে সওয়াল করতেই একেবারে রাখঢাক না রেখে ময়দানে কোমর বেঁধে নামলেন গদ্দার। শুভেন্দু বলেন, “দিল্লিতে অমিতজি ও ধনকড়জির সঙ্গে দেখা করার পরে রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করেছেন। কখন প্রেম-প্রীতি, ভালবাসার উদয় হয়, কখন ঝগড়া হয়, তা আমি বলতে পারব না।” আর এই প্রসঙ্গেই শনিবার কলকাতায় (Kolkata) ফিরলে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল সাফ জানান, “শুভেন্দুও ঠিক, আমিও ঠিক। আমি বাংলার মানুষের পক্ষে রয়েছি, এমন নয় যে নির্দিষ্টভাবে সরকারের পক্ষে আছি।” পাশাপাশি রাজ্যপাল আরও জানিয়েছেন, রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে আলোচনার শুধুই একজন মাধ্যম তিনি। তিনি আরও আশ্বস্ত করেন, “এটা কেবলই শুরু। আগামীদিনে আরও ইতিবাচক বিষয় শোনা যাবে।’

প্রথম থেকেই বাংলায় একের পর এক রাজ্যপাল পাঠিয়ে রাজভবনকে বিজেপির মিনি পার্টি অফিস বানাতে মরিয়া প্রচেষ্টা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। আগের রাজ্যপাল তথা বর্তমানে দেশের উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সময়ও একই ছবি সামনে এসেছিল। বিজেপির দেখানো পথেই একের পর বিরোধী কাজ করে রাজ্যের সঙ্গে জোর করে দূরত্ব বাড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বাংলায় আসার পর থেকে তাঁর উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন গদ্দার শুভেন্দু। আর সেকারণেই শুভেন্দুদের কথা শুনে কিছু রাজ্য বিরোধী পদক্ষেপও নিতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু এবার বাংলার বকেয়া নিয়ে শাহি দরবারে রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার বকেয়া চেয়ে মোদি সরকারের কাছে বারবার অনুরোধ জানালেও শুধুই বঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। আর সেকারণেই বাংলার হয়ে সওয়াল করেন রাজ্যপাল বোস। আর তাতেই মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় শুভেন্দুর। কারণ এতদিন বিরোধী দলনেতা যেখানে বাংলার টাকা আটকে রাখতেই কেন্দ্রের কাছে বারবার দরবার করে আসলেও রাজ্যপালের পদক্ষেপে যদি আগামীদিনে বাংলার মানুষের ভালো হয় তাহলে এতদিনের সাজানো নাটক ভেস্তে যেতে পারে বিরোধী দলনেতার। আর সেকারণেই রাজ্যপালের পদক্ষেপে চটলেন গদ্দার।

Previous articleমৃত্যু ‘নাটকে’র যবনিকা পতন, প্রকাশ্যে পুনম পাণ্ডে
Next articleথানায় শিবসেনা নেতাকে এলোপাথাড়ি গুলি বিজেপি বিধায়কের, আহত আরও এক বিধায়ক