মায়ানমারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। এর মাঝেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ভারত সফরে মায়ানমার প্রসঙ্গ বিশেষভাবে আলোচিত হয়। এদিন সকালে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকে মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ভারত-বাংলাদেশ একযোগে কাজ করবে। এ বিষয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পরে বিস্তারিত কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে। ভারতের আমন্ত্রণে দিল্লি এসে হাছান মাহমুদ বুধবার সকালে প্রথমেই অজিত ডোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারপর তিনি যান রাজঘাটে, জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে। সন্ধ্যায় হায়দরাবাদ হাউসে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন। ডোভাল গত রবিবার ঢাকা গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।

মঙ্গলবার রাতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দেয়। তাতে বলা হয়, মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে যেসব ভারতীয় রয়েছেন, তাঁরা যেন এখনই সেখান থেকে অন্যত্র চলে যান।বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যেসব ভারতীয় নাগরিক রাখাইন যাওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁরা যেন কেউ সেখানে না যান। ওখানকার পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। সব ধরনের টেলিযোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত। এমনকি ল্যান্ড লাইনও অকেজো হয়ে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘোর আকাল শুরু হয়েছে। কাজেই সে দেশে না যাওয়াই শ্রেয়। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আরও জানান, এখনও পর্যন্ত ২২৯ জন মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বিজিপি ও তাদের পরিবারের সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। এছাড়া তাদের ছোড়া মর্টার শেলে বাংলাদেশের সীমানায় দুজন নিহত হয়েছেন। এরজন্য মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে বলেও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিনি।