দিলীপের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি, কমিশনে তৃণমূলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল 

কুণাল বলেন, 'দিলীপকে বিজেপির শোকজ আসলে বাংলার মানুষের নজর ঘোরাতে পদ্ম শিবিরের নাটক।'

দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এবং তার দল নারী বিদ্বেষী, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমন কথাই জানালো তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী তা শুধু নিন্দনীয় নয়, এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের প্রতিনিধিরা। উঠেছে প্রার্থী পদ খারিজের দাবিও। মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ জানাবার পর আজ নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) অফিসে রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়কদের নিয়ে উপস্থিত হয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। কমিশনের অফিস থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) বলেন, দিলীপ ঘোষ ‘সিরিয়াল অফেন্ডার’ হয়ে গেছেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে মহিলাদের আক্রমণ করছেন। এটা ওনার স্বভাবে দাঁড়িয়ে গেছে। MCC গাইডলাইনকে অমান্য করেছেন দিলীপ। চিফ ইলেক্টোরাল অফিসারকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে এবং কড়া শাস্তির দাবিও করা হয়েছে।

আজ সকাল ১১টা নাগাদ নির্বাচন কমিশনের অফিসে যান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, মালা রায়, প্রতিমা মণ্ডল, বসুন্ধরা গোস্বামী, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়, সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, নাদিমুল হক, কুণাল ঘোষ। চন্দ্রিমা জানান দিলীপ ঘোষের দল কী পদক্ষেপ করেছেন সেটা নিয়ে তাঁরা বিন্দুমাত্র ভাবিত নন। আদর্শ আচরণ বিধি লংঘন করে যে অপরাধ করেছেন দিলীপ তার বিরুদ্ধে কমিশনের ওরা পদক্ষেপই দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে। এদিন বিজেপি প্রার্থী শোকজের কথা স্বীকার করে নিয়েও সকালে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে ফেসবুক পোস্ট করেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) জানান, ‘দিলীপ ঘোষ বলেছেন যে তৃণমূল মহিলাদের নিয়ে ট্রাম কার্ড খেলছে। যে দল আসানসোলে পবন সিং এর মতো প্রার্থীকে দাঁড় করাবার সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিল তারা যে চূড়ান্ত নারীবিদ্বেষী সেটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। যেভাবে বাঙালি মহিলাদের ধারাবাহিকভাবে অসম্মান করেন দিলীপ ঘোষ এটা নিন্দনীয়।’ বিজেপি এখানকার নারী জাতিকে অপমান করছে বলি অভিযোগ করেন ব্রাত্য। একই কথা শোনা যায় শশী পাঁজা এবং কুণাল ঘোষের মুখেও। কুণাল বলেন, ‘দিলীপকে বিজেপির শোকজ আসলে বাংলার মানুষের নজর ঘোরাতে পদ্ম শিবিরের নাটক।’ এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কড়া পদক্ষেপের দাবি করেছে তৃণমূল।

Previous articleরাজ্যপালকে কালো পতাকা! রাজ্যকে এড়িয়ে সমাবর্তন আয়োজনের প্রতিবাদ
Next articleনারদাকাণ্ডে ফের তৎপর সিবিআই! ম্যাথু স্যামুয়েলকে নিজাম প্যালেসে তলব